তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেও পশ্চিমবঙ্গে বজায় থাকবে তীব্র গরম। চলতি সপ্তাহ থেকেই জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবারই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই আবহে ১৪ এপ্রিল শুক্রবারও কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডী।
আবহাওয়া দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ১৭ তারিখের পর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় ‘সামান্য পরিবর্তন’ হতে পারে। তবে কী পরিবর্তন হবে, গরম কমবে কি না, আসন্ন সপ্তাহে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা থাকছে কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আজ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা এবং শনি, রবি এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপ প্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রুক্ষ মাটির জেলা পুরুলিয়ার মানুষের। গত কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়ে ফেলেছে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী আজ দিনর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ চড়বে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর । এই গরমের সঙ্গে আবার দোসর হয়ে বাতাসে লু বইতে শুরু করেছে। বেলা এগারোটার পর থেকেই রাস্তা ঘাট ফাঁকা হতে শুরু করেছে। যারা বেরোচ্ছেন তারাও নিজেদের যতটা সম্ভব গরম থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেউ ছাতা মাথায় বেরোচ্ছেন। কেউ বা আবার সম্পূর্ণ আবৃত করছেন হালকা পোশাকে। ঠান্ডা পানীয়ের দোকানগুলিতে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। আঁখের রস দিয়ে অনেকেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। তেমনই ফলের রসেরও বিক্রি বেড়েছে লক্ষ্যনীয় ভাবে। অনেকেই আবার গরম থেকে বাঁচতে ডাবের জল খাচ্ছেন। প্রচন্ড দাবদাহের করণে জেলাবাসীকে সতর্ক করেছে প্রশাসন । অন্যদিকে জেলার সমস্ত হাসপাতাল গুলিতে পর্যাপ্ত ওআরএস রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন।

অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরেও দাবদাহের বারবাড়ন্ত। সকাল থেকে মানুষ জনের হাঁসফাঁস অবস্থা। ভোরের সূর্য ওঠার আগে কোন একসময় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রিতে থাকলেও সূর্য উঠতেই তা বেলা দশটাতেই তা ৩৭ এ উঠেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাটির নিচের জল স্তর নেমে গেছে। ফলে তপন সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র জলকষ্ট। শুধু পানীয় জলই নয়। জলে রোদ দেখা দিয়েছে তীব্র আকাল।

আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে আগামী ২রা মে থেকে স্কুলগুলি বন্ধের কথা ঘোষণা করা হলেও আপাতত সেগুলি সকাল থেকে করার দাবি সকলের । যা কিছু কাজ সকালে অথবা বিকালে করার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বেশি করে জল খাওয়া। অতিরিক্ত ঝাল মসলা যুক্ত খাবার না খাওয়া। জরুরী কাজে বেরোতে হলেও ঘন ঘন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবং সেইসঙ্গে ফুলহাতা জামা সহ সমস্ত শরীর ঢেকে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিউজ টাইম চ্যানেলের খবরটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube