
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনার ফসল বিশ্বভারতী, আর সেই বিশ্বভারতীর ভাবনাতেই নিহিত আছে আত্মনির্ভরতার বার্তা। কবিগুরুই প্রথম স্বনির্ভরতার ভাবনার বীজ রোপন করে দেশবাসীর মধ্যে।“ বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী। এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কবিগুরুর কথা বলেই আত্মনির্ভরতার ডাক দিলেন নমো।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ঐতিহ্যপূর্ণ পৌষমেলার কথা। তিনি বলেন, পৌষ মেলাতেই গুরুদেব একেবারে তৃণমূল স্তরের শিল্পিদের উত্তরণের পথ দেখান। এই মেলাতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে লুকিয়ে থাকা শিল্পকে সর্বসমক্ষে আনেন। এখানেই শিল্পিরা তাঁদের শিল্প কর্ম বিক্রি করতে পারেন। শিল্পকর্মেও উপার্জন হয়, তা প্রথম দেখান কবিগুরুই। এই বক্তৃতায় তিনি বলেন, কবিগুরুই প্রথম দেশে কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার কথা বলেন। গুরুদেবের ভাবনার ধর্মীয় জাগরণের সুফল পাবে গোটা বিশ্ব। এই আবেগের ওপর ভিত্তি করেই সরকার স্বনির্ভরতার ডাক দিয়েছে। এই আত্মনির্ভর ভারতের সুবিধা শুধু দেশবাসীর জন্যে নয়, এই সুবিধা পাবে গোটা বিশ্ব। এই বছর করোনা আবহে পৌষ মেলার আয়োজন হয়নি শান্তিনিকেতনে। সেই বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত শিল্পিরা মেলায় এই বছর আসতে পারেননি তাদের শিল্প কর্ম অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করার কথা। তিনি আরও বলেন এই সমস্ত শিল্পিদের নিজের কাজকে সুষ্ঠ ভাবে বাড়িয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে। তাঁর বক্তব্যে তাঁর নিজের রাজ্যের কথাও উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাট কবিগুরুর বেশ পছন্দের জায়গা ছিল। গুরুদেবের দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গুজরাতে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার তিনি গুজরাত গেছেন। এখানে বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থও লেখেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন।