
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু সেই বিষয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে পুনরায় হাসপাতালের কাজে যোগদান করেছেন বসিরহাটে এক চিকিৎসক। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়িত্বজ্ঞানহীন ওই চিকিৎসকের নার্সিংহোম সিল করেছে প্রশাসন। একইসাথে তাঁকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারানটিনে।
এর আগেও একবার ছেলে বিদেশ থেকে ফেরার পর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য করোনা আক্রান্তের চিকিৎসক বাবার সদস্যপদ খারিজ করে প্রশাসন। কিন্তু এবার আরও একবার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন বসিরহাটের ওই চিকিৎসক। বার বার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার ফলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিদেশফেরতদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বিদেশফেরত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল হোন। যাঁরা ফিরেছেন, তাঁরা ১৪ দিন বাড়িতে থাকুন। কয়েক দিন বাড়িতে থাকলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান। তাতে রাজ্য বাঁচবে। রাজ্য বাঁচলে দেশ বাঁচবে’। ভারতের বাইরের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস এমনভাবে থাবা বসিয়েছে যে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন, মধ্য প্রাচ্যের মত দেশ থেকে এসে ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এমনকি যদি কেন ভাবে হালকে জ্বর বা সর্দি-কাশি হয় সেক্ষেত্রে কোন ভাবনা চিন্তা না করেই হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশও অনেকেই এখন উপেক্ষা করছেন। তবে এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, যারা হোম কোয়ারানটিন ভাঙবেন তাঁদের ৬মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে শুধু কারাবাসই নয়, হতে পারে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও।