
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে মাটির নিচ থেকে মিলল এক যুবকের মৃত পচাগলা দেহ। খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে স্থানীয় সুত্রে আভিযোগ করা হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকার সন্দেহে লালু গাজি নামে এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে খুন করে পুঁতে ফেলেছেন। স্থানীয়দের এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনর জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর ২১ জানুয়ারি উলুবেড়িয়ার নাজির পাড়ার বাসিন্দা শেখ দিল মহম্মদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত্রি ৯-টা নাগাদ বাড়িতে ফোন করে তিনি জানান তাঁর ফিরতে দেরি হবে। কিন্তু তারপর আর ফেরেননি। তাঁর ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকালে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়র পর কোন হদিশ না মেলায় উলুবেড়িয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু তারপরেও বহুদিন কেটে গেলেও ছেলের কোন খবর মেলেনি। পুসিশের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তার অভিযোগও তোলা হয় ওই যুবকের পরিবারের তরফে। তবে মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই মাটি খোঁড়া হয় তপনা এলাকায়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ যুবক শেখ দিল মহম্মদের দেহ। এরপরেই ওই এলাকার বাসিন্দা লালু গাজির বিরুদ্ধে পরিকল্পনা মাফিক খুন করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, লালুর স্ত্রীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শেখ মহম্মদ নামের ওই ব্যক্তির। এই কারনে একাধিকবার স্ত্রীর সাথে অশান্তিও হয় লালুর। তবে এই ঘটনার পেছনে ঠিক কী কারন রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।