
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : “শিক্ষা নেই, চাকরি নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে মানুষের সঙ্গে ধর্মের নামে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। ছাত্র সমাজের এই প্রতিবাদ দেখে ভয় পাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস”। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সভা করার অনুমতি মেলেনি। যে কারণে গেটে দাঁড়িয়েই বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখেন ঐশী। তিনি বলেন, “ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সভা করতে দেওয়া হল না। বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা জায়গা, যেখানে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু এ রকম একটা গণতান্ত্রিক দেশে, সেই সভা করতে দেওয়া হল না। নিজেদের চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরার কণ্ঠকে রোধ করা ঠিক নয়”। কেন্দ্রের শাসক দলকে একহাত নিয়ে ঐশী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সদর্থক ভূমিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে হলেও সভা আয়োজন করেছে। এই আন্দোলনকে যে কারণে শাসক ভয় পাচ্ছে। ধর্মের নামে বিভেদের রাজনীতি করছে বিজেপি-আরএসএস। পড়ুয়ারা রুখে দাঁড়াতেই তারা ভয় পাচ্ছে”। তাঁর কথায়, “আজ আমাদের সংবিধানের উপর ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। সিএএ-এনআরসি দিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। এই বাংলার মাটি নজরুল ইসলাম আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটি। তাই বাংলাকে বলে দিতে হবে, এই ভেদাভেদের রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলে দেব। বিজেপিকে এই বিভেদের রাজনীতি আমরা করতে দেব না”।