
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভীজের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর, ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে এই বিষয়ে সাফাই হিসেবে বলা হয়, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর এর কার্যক্ষমতা বোঝা যাবে। মন্ত্রী ইতিমধ্যে ভারতীয় করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে তিনি এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র টিকার প্রথম ডোজটিই নিয়েছেন। মন্ত্রী অনীল ভিজ এই টিকার ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। এই ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পরেই মন্ত্রীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে যে বক্তব্য রাখা হয়, তাতে তারা বলে, কোভ্যাক্সিন টিকা ২৮ দিন এর মধ্যে, মাঝে ১৪ দিনের বিরতিতে দুটি ডোজ দিতে হয়। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর এর কার্যক্ষমতা বোঝা যাবে। এই ভাবেই এই টিকা তৈরি হয়েছে। শনিবার অনিল ভিজ ট্যুইট করে জানান, তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে তিহ্নিত হয়েছেন এবং আম্বালার সিভিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২ সপ্তাহে যাঁরা যাঁরা আমার সংস্পর্শ্বে এসেছেন তাদের করোনা পরীক্ষা করার আর্জি জানাচ্ছি। ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে জানানো হয়, এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে ডাবল ব্লাইন্ডেড এবং র্যানডম। এরফলে এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী মানুষের মধ্যে ৫০ শতাংশ পাবেন টিকার ডোজ, এবং ৫০ শতাংশ পাবে প্লাসিবো। সিডিএসসিও-ডিসিজিআই এর গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো রোগীকে এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে হবে সাইট প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর, অথবা টিকাকরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব কতটা তা পর্যবেক্ষণ করা । সেই পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সাইট এথিকস কমিটি, সিডিএসসিও-ডিসিজিআই, ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ড এবং স্পনসরের কাছে। জানায় ভারত বায়োটেক। হরিয়ানায়, ২০শে নভেম্বর ভারত বায়োটেকের ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে অনিল ভিজের ওপর এই টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হয়। এই টিকা হরিয়ানায় ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে তৈরি করা হয় হরিয়ানায়। এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সর্বাপেক্ষা বৃহদাকারে হয়েছে সমগ্র দেশে। এই পরীক্ষা মূলত ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ জন সাধারণের ওপর ঠিক কতটা কার্যকরী তা দেখার জন্যেই।