
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : ভারতে করোনা সংক্রমণ এখনও লোকাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে আছে। কোনো রকম কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের চিহ্ণ পাওয়া যায়নি। দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি এই তৃতীয় পর্যায়ে বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পর্যায়ে গেলে তা সবার আগে সাধারণ মানুষকে জানানো হবে। যাতে তার জন্য যথাযথ প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগের জয়েন্ট সেক্রেটারি লব আগরওয়াল জানান, যদি দেশে কমিউনিইটি ট্রান্সমিশনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তবে সরকার সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে সর্বপ্রথম দেশবাসীকে সেই কথা জানাবে। বর্তমানে তেমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। যে কোনো রকম মিডিয়ায় এই নিয়ে যে সমস্ত খবর আপনারা পাচ্ছেন তা ভুয়ো। এতে বিশ্বাস করবেন না। প্রসঙ্গত, এই দিনই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে একজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীকে এক জায়গা থএকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত কিভাবে করা হবে তার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। এই নির্দেশিকা ভারতে বর্তমানে লোকাল ট্র্যন্সমিশন ও লিমিটেড কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই বক্তব্যের লিমিটেড কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শব্দের কারণেই সাধারণ মানুষএর মধ্যে তৈরি হয় উৎকন্ঠা। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, ঐ বক্তব্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শব্দটি একেবারে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র পরিস্থিতির গুঢ় তা বোঝাবার জন্যই প্রসঙ্গসুত্রে ব্যবহৃত হয় এই শব্দ। যার সাহায্যে আমরা সরেজমিনে ঠিক কি কি পদক্ষএপ নিতে চলেছি তা বোঝা যায় সহজে, বলেন আগরওয়াল।