
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : করোনা মহামারি রুখতে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার পরামর্শ পরীক্ষা পরীক্ষা আর পরীক্ষা। অর্থাৎ ব্যপক ভাবে পরীক্ষা চালাতে হবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ওপর। তাহলেই প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া যাবে। অভিযোগ ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরামর্শ মত ব্যপক হারে পরীক্ষা করছেনা। মূলত পরিকাঠামোগত অভআবকেই কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। জনসংখ্যার বিশাল চাপ এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণপরিকাঠামো না থাকার ফলে সমস্ত সন্দেহ ভাজনকে পরীক্ষা হচ্ছেনা বলেই অভিযোগ। পরীক্ষার পরিকাঠামো এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভারতে করোনা চিকিৎসাক্ষেত্রে যুক্ত থাকা কর্মচারীদের মধ্যে যাদের করোনার উপসর্গ দেখা গেছে তাঁদেরও এবার নজরদারিতে রাখা হল। এঁদের মধ্যে কারুর কারুর শ্বাস প্রশ্বাসের অসুবিধাও দেখা গেছে বহুল পরিমানে। ভারতের বর্তমানে দিনে ৮০০০ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও, ইতিমধ্যে দিনে শুধুমাত্র ৯০জনেরই পরীক্ষা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তৰফ থেকে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ৫০০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিমান কম হওয়ার ক্ষেত্রে সরকার থেকে বলা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গাইড লাইন ভারতের ক্ষেত্রে কার্যকরি নয় কারণ, ভারতে সংক্রমনের পরিমান অন্যান্য দেশের থেকে তুলনীমুলক ভাবে কম। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফল মেডিক্যাল রিসার্চের মাথা বলরাম ভার্গভ বলেন, এখনও পর্যন্ত ভারতবর্ষে জনসাধারণের মধ্যে সংক্রমনের ঘটনা ঘটেনি। তাই হু এর নির্দেশিকা ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সুতরাং অহেতুক সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ানো উচিত না। ইতিমধ্যেই একজন ব্রিটিশ মহিলা দিল্লির এক হাসপাতালে জানান তিনি সম্ভবত একজন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, এবং এই ব্রিটিশ মহিলা পরীক্ষা করাতে গেলে সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তিনি ভারতীয় করোনা পরীক্ষা বিধির যোগ্য নন বলে তাঁর পরীক্ষা হবেনা। তিনি দ্বিতায়বারও পরীক্ষা করাতে গেলে, পরীক্ষা না হওয়ায়, ফ্রান্সে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে যান। এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, হাসপাতাল আগত সমস্ত রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা যাবেনা। কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই পরীক্ষায় যে পরিমান খরচ হবে তা দিয়ে অন্য অনেক রোগের চিকিৎসা করা যাবে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।