
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : মঙ্গলবার কংগ্রেস ছাড়ার জন্য ইস্তফাপত্র দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। বুধবার সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গেরুয়া শিবিরে পা রাখলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এদিন বেলা ২.৩০ মিনিট নাগাদ বিজেপির হেডকোয়ার্টারে উপস্থিত হন তিনি। সেখানে বিজেপি দলে তাঁকে স্বাগত জানান জেপি নাড্ডা। একইসাথে জনসংঘ গঠনে রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়ার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিজেপিতে যোগদানের পর দলের সমস্ত কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে পারবেন জ্যোতিরাদিত্য। একইসাথে দলের যে কোন বিষয়ে তিনি নিজের মতামত জানাতে পারবেন বলে দাবি করেন জে পি নাড্ডা। দলে এইবাভে তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জেপি নাড্ডা সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান সিন্ধিয়া। পাশাপাশি তাঁর জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ন দিনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুটো দিন আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রথমটি হল ২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আমার বাবার মৃত্যু এবং দ্বিতীয়টি হল ২০২০-র ১০ মার্চ। এদিন আমার বাবার ৭৫তম জন্মবর্ষিকী। এদিন আরও একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি আমার জীবনের পথ পরিবর্তন করলাম।’ এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একদিকে যেমন তিনি কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন অন্যদিকে তেমনি গেরুয়া শিবিরের প্রশংসায় মেতেছেন। তাঁর কথায়, “নরেন্দ্র মোদীর হাতেই ভারতের ভবিষ্যত সুরক্ষিত। এই আগে অন্য কোন সরকার হয়তো পরপর দু’বার এইরকম সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কাজে জীবন দিয়েছেন। গোটা বিশ্বের কাছে তিনি দেশের নাম উজ্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবশেষে আমি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যে তিনি আমাকে এই দলে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি মোদি-শাহর দেখানো রাস্তাতেই চলব।”