
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সমস্ত জল্পনা সরিয়ে বুধবার অবশেষে সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।যদিও মঙ্গলবার দিনই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র সনিয়া গান্ধীক কাছে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে আজ সে বিষয়ে চুড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন তিনি। তবে বিজেপিতে যোগদানের পাশাপাশি কংগ্রেসকে এদিন আক্রমণ করতেও ছাড়েননি জ্যোতিরাদিত্য। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
প্রথমেই দলে আমন্ত্রণের জন্য নরেন্দ্র মোদি, জে পি নাড্ডা ও অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।সিন্ধিয়ার কথায়, ‘আমার জীবন পাল্টে দেওয়ার দুটি দিনের মধ্যে একটা হল ৩ সেপ্টেম্বর, যেদিন আমি আমার বাবাকে হারিয়ে ছিলাম। আর অন্যটা হল ১০ মার্চ, ২০২০। বাবার ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী ছিল। আর এই বিশেষ দিনটিতেই জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’ এরপরেই কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে সিন্ধিয়া বলেন, ‘কংগ্রেসের জনহিত করার যে লক্ষ্য ছিল, তা এখন আর নেই।’ এমনকি পূর্বের মত পরিস্থিতিতে যে বর্তমানে কংগ্রেস নেই সে বিষয়েও এদিন মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিন্ধিয়া বলেন, “কংগ্রেস আর আগের মতো নেই। তাই সে দলে থেকে জনসেবা মূলক কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বাস্তব পরিস্থিতিকে বুঝতে সক্ষম নয় কংগ্রেস। জনগনের মন বুঝতেও অসফল এই দল।” তিনি এদিন আরও বলেন, ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস, সেই সময় একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি, কিন্তু মাত্র ১৮ মাসোর মধ্যেই সব স্বপ্ন ভেঙে যায়। কংগ্রেস সরকারের তরফে করা কোন প্রতিশ্রুতিই শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা হয়নি। কৃষকদের ১০ দিনের মধ্যে ঋন মুকুব করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা ১৮ মাস পরেও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি কংগ্রেসের তরফে। আগের বছরের ফসলের বোনাস কৃষকদের এখনও দেওয়া হয়নি। শিলাবৃষ্টির ফলে যে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য কোন জরিমানা দেওয়া হয়নি। দিনের পর দিন বেকারত্বও বেড়ে চলেছে। বেকারদের ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবও শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। দেশের ও দশের জন্য কাজ করতে হলে তাই বিজেপির পথে হেঁটে জনসেবা এবং রাষ্ট্রসেবা করতে হবে।”