
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বড় রাস্তা সংলগ্ন এলাকা গুলি দেখলে বোঝা যাচ্ছেনা, এখানেই ঠিক একদিন আগে কেমন অবস্থা ছিল। একটু ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ছে ইতিউতি ধ্বংসের চিহ্ন। রাজধানীতে এখন খানিকটা শান্তির পরিবেশ হলেও পুরোপুরি থেমে যায়নি সংঘর্ষ। গতকাল রাতেও প্রায় ২১টি জায়গা থেকে ডাক আসে দমকলের। যদিও দিল্লি পুলিশের দাবি অবস্থা এখন শান্ত।
গত ২৩ তারিখ থেকে উত্তর পূর্ব দিল্লির বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে সিএএ বিরেধী ও সমর্থনকারীদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল অশান্তি, যা ধিরে ধিরে ব্যাপক আকার ধারন করে। মৃতের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৭। শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত। গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে বারবার কেজরিওয়াল সেনা নামানোর আর্জি জানান শাহের কাছে। এই বৈঠকের পর অমিত শাহ জানান পর্যাপ্ত পরিমানে ছিল পুলিশ। তবে প্রথম থেকেই দিল্লি পুলিশের অভিযোগ ছিল পুলিশ ছিলনা পর্যাপ্ত পরিমানে। ২৬ তারিখ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী, মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হয় দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানে তীব্র ভর্ৎসিত হয় দিল্লি পুলিশ, কাজে ঢিলেমি, সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া ও আরও নানান বিষয়ে। এমনকি আক্রান্ত এলাকার সংঘর্ষের ভিডিও চালিয়ে দেখান বিচারপতি এস মুরলিধর। এই শুনানিতে দিল্লি আদালত রায় দেয়, দ্রুত আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে এবং উস্কানিমুলক মন্তব্যকারী সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে গ্রেফতার করার কথা বলেন। এখানেই উঠে আসে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর নাম। এই শুনানির পরই গতকাল মধ্যরাতে বিচারপতি এস মুরলিধরকে বদলি করা হয় পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে। অন্যদিকে এইদিনই ইন্টেলিজেন্স বিভাগের এক অফিসার অঙ্কিত শর্মার দেহ পাওয়া যায় একটি নালার মধ্যে। এই দেহ ঘিরে শুরু হয় চাঞ্চল্য, বিজেপির বেশ কিছু নেতা এই খুনের দায় চাপায় আপ সাংসদ তাহির হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেত্রি সোনিয়া গান্ধী দিল্লির অগ্নিগর্ভ অবস্থার জন্য দায়ী করেন বিজেপি ও আম আদমি পার্টিকে। এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন। এরপরই এর পাল্টা জবাব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। এরপর কংগ্রেস আজ একটি স্মারকলীপি জমা দেন রাষ্ট্রপতী রামনাথ কোভিন্দের কাছে। এস মুরলিধরের বদলির ঘটনার সমালোচনা করেন প্রায় সমস্ত স্তরের নেতা নেতৃরা। যদিও বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয় এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া। এমনকি ৮জন পুলিশ কর্মিকেও অদল-বদল করা হয়।