
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : রাজধানীর হিংসার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে। আইনশৃঙ্খলার এই সংকটজনক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার তিনি দাঙ্গার কারনে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন।
এই অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পন করার পরেই তিনি দোভাল প্রথমে পৌঁছান ডিসিপি অফিসে। সেখান থেকে বিভিন্ন দাঙ্গা পিড়িত এলাকায় যান। বর্তামানে তিনি রয়েছেন জাফরাবাদে। এছাড়া দিল্লির এই হিংসার ঘটনায় সিকউরিটি এজেন্সি গুলো ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তাও খতিয়ে দেখবেন দোভাল। এবং প্রতি মুহূর্তে তার রিপোর্ট পাঠাবেন প্রভানমন্ত্রীর কাছে। তাহলে কি দিল্লি পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দোভালের ওপর আস্থা রাখলেন? উঠছে এমনই সব প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আগেই আসরে নেমেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল, দিল্লি সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক এমনকি খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু দিল্লির উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব হয়নি। তাই এবার আসরে নামলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। শীঘ্রই যাতে উত্তপ্ত দিল্লির পরিস্থিতই ঠান্ডা করা হয় সেই মর্মে মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। একইসাথে তিনি এদিন দেখাও করেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে। এইপরেই বুধবার সকালে উত্তরপূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকা নিজে ঘুরে দেখেন তিনি। কিন্তু দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, দিল্লির পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লি একপ্রকার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই পরিস্থিতিতে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রনে আসার ফলে অতিরিক্ত সেনা নামানোর প্রস্তাব খারিজ করা হয়। কিন্তু বুধবার সকালে ফের বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটে। যার ফলে অনেকেই দাবি করছেন, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে এই হিংসা থেকে বাদ পড়েনি পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরা পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। আহত হয়েছেন প্রায় ২০০-র কাছাকাছি মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৫৬ জন রয়েছেন পুলিশকর্মী। শহিদ হয়েছেন একজন হেড কনস্টেবল।