
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সোমবার সিএএ পক্ষের ও বিপক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবল রতন লালের। প্রথমে সেই খবর বিশ্বাস হয়নি তাদের পরে কঠোর সত্য মানতে হয়েছে লাল পরিবারকে। বাবাকে হারিয়েছে তাঁর তিন সন্তান। রাজস্থানের শিকারের বাসিন্দা রতন ১৯৯৮ সালে যোগ দেন দিল্লি পুলিশে। বর্তমানে তিনি গোকুলপুরীর এসিপি অফিসে কর্মরত ছিলেন। বাড়ির ছেলের হঠাৎ চলে যাওয়াও কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন পরিবারের বাকিরা। রতনের বৃদ্ধা মা এখও জানেন না ছেলের মৃত্যু সংবাদ।
সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে দিল্লির মউজপুরের গোকুলপুরির কাছে মৃত্যু হল দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবলের। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোঁড়া পাথরের আঘাতেই রতন লালের মৃত্যু হয়। এদিকে পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম ডিসিপি পদমর্যাদার এক পুলিশ কর্মী। সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৭। আহতের সংখ্যা ৭৮। নিহত রতন লালের ভাইপো মণীশ কুমার জানান, অফিসের কাজ কাজ করতে করতে কাকার মৃত্যুসংবাদ পান তিনি। জেটিবি হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, মাথায় জখম ছিল রতন লালের। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। মোট ১০ জন পুলিশকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তার মধ্যে ৬ জন আহত পুলিশকে ভর্তি করা হয়েছিল। যার মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সরকার?ইতিমধ্যেই অর্থ সহায়তার কাজ শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।