
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোয় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই যুবকই এক পুলিশকর্মীকে একা পেয়ে তাঁর মুখের দিকে বন্দুক তাক করেছিল। তার গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে আর এক পুলিশকর্মীর। পরিচয় শনাক্ত করা দেখা গিয়েছে ওই যুবকের নাম মহম্মদ শাহরুখ।
ক্যামেরায় ধরা পড়েছে একা পুলিশকর্মীকে পেয়ে তাঁর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় এই যুবক। এরপর শতাধিক মানুষের মধ্যে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় সে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে এক পুলিশকর্মীর মুখের দিকে বন্দুক তাক করতে দেখা গিয়েছে এই যুবককে। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দু’পক্ষের এই খণ্ডযুদ্ধের বলি হয়েছেন কমপক্ষে ৭ জন,মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লির গোকুলপুরী থানার হেড কনস্টেবল রতনলালও। আহতের সংখ্যা ৬০, যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই সম্মুখসমর রবিবার থেকেই আর শান্তিপূর্ণ নেই। দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ছে পাথর। শুধু তাই নয়, উন্মত্ত এই জনতার রোষ গিয়ে পড়ছে রাস্তার ধারে দাঁড়ানো গাড়ি, বাইক, স্কুটির উপরে৷ নির্বিচারে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে লাঠি, লোহার রড দিয়ে৷ ৷ এ সবের মাঝে হঠাৎ ই আসে শাহরুখ। কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুরো ঘটনাটি ঘটে সংবাদ মাধ্যমের সামনে৷ এই সময়েই রাস্তার ডিভাইডার টপকে তাকে গ্রেপ্তার করতে এগিয়ে আসেন দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলাল৷ মুহূর্তের মধ্যেই রতনলালকে লক্ষ করে গুলি চালায় ওই যুবক৷ রক্তাক্ত অবস্থায় জাফরাবাদের রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই পুলিশ কর্মী৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ রাত দশটা নাগাদ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরেও প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ, যেখানে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন ১০ জন পুলিশ কর্মী, যাঁদের মধ্যে আছেন ডিসিপি ও এসিপিও৷ উত্তর-পূর্ব দিল্লির অবস্থা এখনও ভয়াবহ।