
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : কথায় আছে চুল নাকি মেয়েদের সৌন্দর্য। এমনকি নিজেদের চুল নিয়ে যথেষ্ট সচেতন মেয়েরা। কিন্তু যদি কোন কারনে সেই সাধের চুল বিসর্জন দিতে হয়, তাহলে ঠিক কিরকম হয়! হঠাৎ কেন চুল নিয়ে এরকম আলোচনা? সেটাই ভাবছেন তো? তাহলে এবার আসল কথায় আসা যাক। করোনার আতুড়ঘর চিনে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এবার সেই জীবাণুর থেকে বাঁচতেই নিজেদের কেশরাশি কেটে ফেললেন নার্সরা।
দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে নার্সরা চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন আক্রান্তদের। তাই তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কায় কেটে দেওয়া হল মাথা ভরা চুল। ২০১৯-এর শেষ দিক করেই চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দু’মাস ধরে ইউহানের হাসপাতালগুলোতে জরুরি পরিষেবা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তাও করোনা মোকাবিলা সম্ভব হচ্ছেনা। এই ভাঘরাসে আক্রন্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত একজন চিকিৎসক সহ হাসপাতালের ডিরেক্টর ও ছ’জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এবিষয়ে আর কোন ঝুঁকি নিতে রাজি নন চিকিৎসক ও নার্সরা। তাই এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পথ বন্ধ করতে চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। চুল কেটে ফেললে এই মারণব্যাধি ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো যাবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। এছাড়া চুল কেটে ফেললে হাসপাতালে প্রবেশের পর যে সুরক্ষাবর্ম তাদের পরতে হয়, তা বদল করাও অনেক সহজ হবে। কিন্তু করোনার জন্য এভাবে চুল বিসর্জন দিতে কি তাঁদের আদৌ ভাল লাগছে? এবিষয়ে বছর ছাব্বিশের দিং দানি বলছেন, “আমি অনেকদিন ধরেই বড় চুল রাখছি। এতটুকুও কাটতে চাইনি। কিন্তু করোনার সঙ্গে মোকাবিলায় চুল কেটে ফেলাই শ্রেয় মনে করলাম।”