
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল এ বার মেরঠে। যৌনাঙ্গে গুলি করে খুন করা হল ১৯ বছরের এক তরুণীকে। মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল তার পরিবার। সেখানেই ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রথমে পুলিশকে ভুলপথে মিথ্যে কথা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল মেয়েটির পরিবার। বলা হয়েছিল, সশস্ত্র ডাকাতরাই খুন করেছে মেয়েটিকে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, মেয়েটির দেহে তিনটি বুলেটের ক্ষত রয়েছে। একটি তার থাইয়ের ভেতর দিকে, একটি যৌনাঙ্গে ও একটি কোমরের ঠিক উপরে পিঠের দিকে। পুলিশ সুপার অবিনাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তের দাগ ছিল,সেই দাগ মোছার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে ভাঙা একটি চুরি, যা থেকে বোঝা যায় অপরাধীকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল মৃতা। দেহটি পুরো ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল, যার থেকে বোঝায় যায় পুলিশে খবর দেওয়ার অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছে। তার উপর পরিবারের লোকেদের অসংলগ্ন বয়ানে পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। দেহটি ময়নাতদন্তে নিয়ে যেতে বাধা দিলে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় পরিবারে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছিল মেয়েটিকে। শনিবার ঝগড়ার সময় মেয়েটিকে লক্ষ করে গুলি চালায় তার তুতো ভাই। মেয়েটির ভাই পুলিশকে জানিয়েছে, তার তুতো দাদা কিট্টু ওরফে প্রশান্ত চৌধুরী রাগের মাথায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে খুন করে।মূল অভিযুক্ত কিট্টু ও তার বন্ধু সলমান পলাতক। পরিবারের বাকি সবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।