নারদ পুজো করে সরকারি চাকরি পেলেন যুবক

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক :

পুরাণ মতে স্বর্গলোকে কুটকাচালির পাশাপাশি বার্তাবাহক রূপেও প্রবল খ্যাতি রয়েছে দেবর্ষি নারদের। আর সেই নারদ বন্দনা করেই নাকি সরকারি চাকরির দরজা খুলেছে বাঁকুড়ার রতনপুর গ্রামে৷ কাকতালীয় ভাবে গত কয়েক বছরে গ্রামের যুবকদের একের পর কর্মসংস্থান হওয়ায় তার ১৬ আনা কৃতিত্ব তাই দেবর্ষি নারদকেই দিচ্ছেন এই গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের আস্থা-বিশ্বাস আর ভরসা ক্রমশঃ বেড়ে চলায় বছর বছর নারদ পুজোর জৌলুষ বাড়ছে৷ তিন দিনের পুজো বেড়ে এখন হয়েছে পাঁচ দিনের। পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে বসেছে মেলা, সঙ্গে গ্রাম জুড়ে রঙবাহারি আলোর রোশনাই।

 সংস্কার, বিশ্বাস যাই থাকুক না কেন এই পুজোর পিছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের না-পাওয়ার বেদনা৷ মনের সেই কষ্ট দেবলোকে দেবতাদের কাছে পৌঁছে দিতে নারদকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের কথা ভেবেছিলেন রতনপুর গ্রামের শিক্ষিত যুব সমাজ৷ আর তাই অনেক ভেবে স্বর্গারোহী দেবতা আর এই শিক্ষিত যুবকদের যোগসূত্র হিসেবেই দেবর্ষি নারদেই আস্থা রাখা শুরু হয়েছিল।

নারদ পুজা’র পূরোহিত সঞ্জয় ব্যানার্জী, অন্যতম উদ্যোক্তা অমিত রাণা থেকে গ্রামবাসী পূর্ণিমা মালরা বলেন, ‘মূলতঃ বেকারত্বের সমস্যার সমাধানের আশা নিয়েই গ্রামে নারদ পুজার  শুরু হয়। আমাদের বিশ্বাস বেকারদের দুঃখ কষ্টের কথা একমাত্র দেবর্ষি নারদের মাধ্যমেই দেবলোকে পাঠানো সম্ভব। তাই এই পূজা শুরুর ভাবনা। ২০১৪ সালে এই পুজার উদ্যোক্তাদের প্রত্যেকেরই নানাক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটেছে। ফলে প্রতিবছর এই নারদ পুজাকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।’

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube