
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : মাথার ওপরে তেঁতুল গাছ আর করঞ্জা গাছ ।সেই গাছের নিচে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ।চলে পঠন-পাঠন। না ,কোন আশ্রমিক বিদ্যালয় নয়। পুরুলিয়ার গোলামারা সচ্চিদানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলে এভাবেই খোলা আকাশের নিচে গাছের তলায়। দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস, বছরের-পর-বছর এভাবেই চলছে।
পুরুলিয়া শহর থেকে ১৬/১৭ কিলোমিটার দূরে পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের গোলামারা সচ্চিদানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সালে প্রতিষ্ঠিত সে বিদ্যালয়ের নেই কোন নিজস্ব ভবন। মাথার উপরে ছাদ বলতে যা ছিল তা ভেঙে গেছে বহু বছর আগে। একটা ঘর অবশ্য আছে -তা ব্যবহার হয় গোডাউন হিসেবে। রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে গাছের তলায় চলে ১৩৯ জন পড়ুয়ার পঠন-পাঠন । বর্ষাকালে কার্যত বন্ধ থাকে পঠন-পাঠন। অস্বাস্থ্যকর ও অসামাজিক পরিবেশে চলে বিদ্যালয়। খোলা আকাশের নিচেই হয় মিড-ডে-মিল খাওয়া । বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি সংশ্লিষ্ট জায়গায় তারা বহুবার জানিয়েছেন লাভ হয়নি কোনো।প্রশাসনিক স্তরে ও মেনে নেওয়া হয়েছে সমস্যার কথা। বিদ্যালয়ের জন্য সরকারি খাস জমির সন্ধান পেয়ে সেখানে বিদ্যালয় নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। স্বাধীনতার ৭২ বছর পরেও ছোট ছোট পড়ুয়াদের পড়ার জন্য মাথার উপরে নেই কোন ছাদ। এটা গোটা সমাজের লজ্জা। যারা উন্নয়নের কথা বলেন— তাদের খোঁজ নেওয়ার বা সমস্যার সমাধান করার হয়তো কোন অবকাশই নেই ।আর নেই বলেই এভাবেই খোলা আকাশের নিচে চলে একটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।