রাজবাড়ির অনুদান ছাড়া শুরু হয় না, জগদ্ধাত্রী পুজো

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক :

কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি থেকে ১৫ টাকা অনুদান এলেই শুরু হয় পুজো। আনুমানিক আড়াইশো বছর ধরে এই রীতিই চলে আসছে কৃষ্ণনগর মালোপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজোতে। কথিত আছে, মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে  জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেছিলেন তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। সেই সময় মূলত মালোপাড়ায় মৎস্যজীবীদের বসবাস ছিল।

 রাজবাড়ীর প্রতিমা নিরঞ্জনে তারাই সক্রিয়ভাবে যোগ দিতেন , একদিন সেই মৎস্যজীবী বা মালোদের ইচ্ছে হল, রাজবাড়ীর মত তারাও জগদ্ধাত্রী মায়ের আরাধনা করবেন । কিছুটা ভয়ে ভয়েই তারা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে তাদের ইচ্ছের কথা জানালেন , তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুমতি দিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। তবে পুজোর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন দরিদ্র মালোরা এত টাকা পাবেন কোথায়? এগিয়ে এলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র অনুদান দিলেন ১৫ টাকা।

আজও কৃষ্ণনগর মালোপাড়া বারোয়ারি সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। আজও রাজ পরিবারের প্রতিনিধিরা এসে ১৫ টাকা অনুদান বারোয়ারি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলে তবেই পূজো শুরু হয়। কৃষ্ণনগর শহরে বারোয়ারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। পুজো কর্তাদের দাবি রাজবাড়ীর পর তারাই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। ঐতিহ্যের পথিক হিসেবে আজও নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় কার্বাইড গ্যাসের আলো জ্বালানো হয়, গ্যাস বাতি থাকে প্রতিমার সামনেও। এছাড়াও পূজোতে প্রতিমার সামনে কয়েক মন ধুনো পোড়ানো মালোপাড়া বারোয়ারির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ,এখানে দেবীকে মাছের মহাভোগ দেওয়া হয়। এই বারোয়ারির পূজোর ঐতিহ্য প্রথা আজও ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর বর্তমান উদ্যোক্তারা। মূলত কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো হয় একদিনের নবমীতেই চার দিনের পূজো হয়।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube