
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে দুজনের। দেশজুড়ে চিকিৎসকরা বারংবার সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সাবধানতা অবলম্বনের আর্জি জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে আতঙ্কিত না হয়ে এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করে চলাই শ্রেয়।
“প্রায় প্রত্যেক বছর একটি করে নতুন ভাইরাসের উৎপত্তি হতেই থাকে। সারস বা সোয়াইন ফ্লু এর মত। করোনা এদের মধ্যে নতুন হলেও এর বিস্তারের ধরণ অন্য যে কোনো ভাইরাস যেমন এইচ১এন১ বা ইনফ্লিয়েঞ্জার মত। কারুর যদি সংক্রমণ হয় তবে তাঁরা যেন নিজেদের আলাদা করে রাখে।“ বললেন স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ নীরজ জৈন। প্রত্যেক চিকিৎসক প্রায় একই ভাবে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেন, যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল বারে বারে ভালো করে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, খুব প্রয়োজন না হলে খোলা জায়গায় কোথাও হাত না দেওয়া। আমাদের নিজেদের দায়িত্ব রোগের লক্ষণ দেখলে নিজেরাই ঘরের মধ্যে থাকা, যাতে সংক্রমণ না বাড়ে। যাঁরা খুব অল্পেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁদেরও বিশেষ সাবধান থাকতে হবে। এ ছাড়া ভীড় কোনো জায়গায় না গেলেই ভালো, জমায়েত এড়াতে হবে. যাতে সংক্রমণ না বাড়ে। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এর ডিরেক্টর ডাঃ রমন আর গঙ্গাখেড়কড় বলেন, আপাতত সাবধানতা অবলম্বনটাই একমাত্র উপায় কারণ করোনা ভাইরাসের প্রতিসেধক তৈরি করতে বেশ সময় লাগবে। ইতিমধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে, এঁদের মধ্যে একজন হলেন রাজধানী দিল্লির অধিবাসী, ৬৯ বছর বয়েসি একজন বৃদ্ধ। তনি করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁর মৃত্যু হয়েছে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের জেরে। ভারতে করোনার জেরে মৃত্যু প্রথম হয় বৃহস্পতিবার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয় ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাস থেকে, চিনের উহান প্রদেশে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে প্রায় ১০০ টি দেশে, সংক্রামিত হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসকে আন্তর্জাতিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ভাইরাসে চিন ছাড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপে আক্রান্ত দেশগুলি।