
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বয়স মাত্র চার, আর দশটা শিশুর মতো সেও লেখাপড়া শেখার মাধ্যমে বড় হতে চায়, স্বাভাবিক ছন্দে দুস্টুমি ও খেলাধুলা করতে চায়। কিন্তু ছোট্ট শিশুটির এসব কিছুতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার শারীরিক অপূর্ণতা। জন্ম থেকেই নেই নাক, নেই নাকের ফুটো, সেই জায়গা অস্পষ্ট ও স্বচ্ছ চামড়ায় ঢাকা। মুখ হা করেই তাকে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয়। চোখ থাকলেও একটির ভেতরে নেই মনি। বাকি চোখে দেখতে পেলেও অনর্গল ঝরে পড়ে অশ্রু।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে হাসপাতালে মরিয়ানের জন্ম হয়। জন্মের পর শিশুটির নাক চোখের ঐ অবস্থা দেখামাত্রই হার্ট এটাক্ট হয়ে মারা যান মা নশিতা খাতুন। একে কন্যা শিশু তার উপর মুখাবয়বের ঐ অবস্থা দেখে বাবাও শিশুটিকে তার দিদিমার বাড়িতে রেখে দূরে চলে গিয়েছেন। শিশুটির খোঁজ নেওয়ারও প্রয়োজন আর বোধ করেন না তিনি। জন্মের পর নবজাতক অবস্থায় দেখে চিকিৎসক নার্সরাও জানিয়ে ছিলেন যে সে বেশিদিন বাঁচবে না। কিন্তু “রাখে হরি তো মারে কে” সেই প্রবাদই স্পষ্ট হয়েছে মরিয়ানের জীবনে। এই অবস্থায় অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় বেঁচে রয়েছে তপনের মির্জাপুর গ্রামের শিশু মরিয়ান। চেষ্ঠা করেও মেয়েটির জোটে নাই প্রতিবন্ধী সুবিধা। এই মুহূর্তে শিশুটির প্রয়োজন চিকিৎসা ও বড় কোন হাসপাতালে তার নাক ও নাকের ফুটো প্রতিস্থাপন করা। কিন্তু অসহায় গরিব দিদিমার পক্ষে সেসব ব্যবস্থা করা যেন সোনার পাথর বাটি। সার্জারি করলে শিশুটি হয়তো নাকটা ফিরে পাব, ফিরে পাবে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন।সমাজ ও সরকারের কাছে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানান,এলাকার শিক্ষক ও সমাজসেবী অলক সরকার।তার দিদিমা ফিরোজা বিবি সহ এলাকার মানুষের একটাই আবেদন প্রশাসন মরিয়ানের চিকিৎসা ও নাক প্রতিস্থাপন করে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ সুগম করুক।Latest posts by news_time (see all)
- ফের চিতাবাঘের হামলা ডুয়ার্সে - March 22, 2023
- ইংল্যান্ড শিবিরে চোটের ধাক্কা - March 21, 2023
- এমবাপেই অধিনায়ক ফ্রান্সের - March 21, 2023