
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : আক্রান্তের সংখ্যায় সমস্ত ইউরোপিয় দেশ গুলিকে ছাড়িয়ে গেল আমেরিকা। এই মুহুর্তে মার্কিন মুলুকে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,০০০ এরও বেশি। এই সংখ্যা গোটা বিশ্বে এই মুহুর্তে সর্ববৃহৎ। এই সংখ্যা ভয়াবহ হারে বাড়তে থাকায় কম পড়ছে টেস্ট কিট, সুরক্ষা পোশাক, ভেন্টিলেটর, মাস্ক ও চিকিৎসার অন্যান্য সামগ্রী। হাসপাতালে স্থান সংকুলান, এমনকি ভেন্টিলেটরের সংখ্যা কম হওয়ার ফলে বিভিন্ন হাসপাতালে একটি ভেন্টিলেটর পরীক্ষামূলক ভাবে দু জন রোগীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় মৃত্যুর হার বেশ কম।
আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৮৫ হাজার ৫৯৪, এবং মৃত ১৩০০। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮৬৮ জন। চিনের পর করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি পড়েছে ইউরোপে, ইটালীতে মৃত্যুর হার চিনের থেকেও বেশি। কোভিড-১৯ এ ইটালী তে মৃত্যু হয়েছে ৮২১৫ জনের, এবং আক্রান্ত প্রায় ৮০ হাজার ৫৮৯। এবং ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন আক্রান্ত নিয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে স্পেন, এখানে মৃতের সংখ্যা ৪৩৬৫। ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চিনের উহান প্রদেশ, এখানে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩২৯২ জনের। তবে গত কয়েকদিনে নতুন কোনো সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। চিন সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় বর্তমানে চিনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, এবং ধীরে ধীরে গোটা দেশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। মৃত্যুর হার বেশি না হলেও আক্রান্তের হার নিয়ে বেশ চিন্তায় ট্রাম্প সরকার। এদিন সরকারি তরফ থেকে জানা যায়, নিউ ইয়র্ক এবং নিউ অরল্যান্স এই দুই শহরে সবথেকে খারাপ অবস্থা। ভেন্টিলেটরের চাহিদা গগনচুম্বি। হাসপাতালে জায়গা নেই রোগীর। গত কিছুদিন মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হলেও বর্তমানে নিউ অরল্যান্সে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিছুদিন আগে এখানে এক বার্ষিক উৎসবে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে উৎসব পালনের কারণে আক্রান্তের হার ভয়াবহ ভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।