
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : এখনও কাটেনি করোনার আতঙ্ক। তাঁর মধ্যেই ফের আরও এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হল চিন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংস্কার কাজ চলাকালীন হঠাৎ করেই তা ভেঙে পড়ায় এখনও পর্যন্ত সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা আর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলছে উদ্ধারকার্য। এখনও পর্যন্ত ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছ্ন ৪০ জনের বেশি মানুষ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝাউ এলাকায় জিংজিয়া এক্সপ্রেস নামে একটি হোটেল ছিল। সেটিকে কোয়ারেনন্টাইন সেন্টারে পরিণতি করার জন্য চলছিল সংস্কারের কাজ। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি পিলার দুর্বল হয়ে পড়ায় পাঁচতলা সেই বিল্ডিংটি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। খবর পেয়েই উদ্ধারকার্য আসে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে নানা ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয় তাঁরা। ইতিমধ্যেই হোটেলের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুত্রের খবর, এই কোয়ারেনন্টাইন সেন্টারে ওই প্রদেশের করোনা আক্রান্তদের রাখা হয়েছিল। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় প্রসাশনিক কর্তারা। তাদের নজরদারিতে উন্নতমানের যন্ত্র ব্যবহার করে শনিবার সন্ধ্যে থেকেই চলছে উদ্ধারকার্য। ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা এখনও আটকে রয়েছেন লাইফ ডিটেক্টর দিয়ে তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যেয় আচনকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচতলা কোয়ারেনন্টাইন সেন্টার। প্রথমে এটি একটি হোটেল ছিল। ২০১৩ সালে সালে বিল্ডিংটি তৈরি হরা হয়। হোটেল হিসাবে তা ব্যবহৃত হতে শুরু হয় ২০১৮ সাল থেকে। কিন্তু চিনে করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় এই বিল্ডিংটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে এই বিল্ডিংটিতে মোট করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৫৮ জনকে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ছিলেন হোটেলের ১৬জন কর্মী ও ৬ জন গাড়ির ডিলার। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে সংস্কারের কাজ চলায় একটি পিলার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ে।