
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : কর্মসংস্থানের বদলে পূর্ব মেদিনীপুরে কর্মহীন হলেন শতাধিক মানুষ। তাম্রলিপ্ত দুগ্ধ সমবায় সমিতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড এর অধীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব কটি দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টার একে একে বন্ধ হয়ে গেল গত এক মাসে। ফলে পুজোর মরশুমে কাজ হারিয়েছেন দুগ্ধ উৎপাদন, পরিবহন, শীতলীকরণ সহ এই শিল্পের সাথে যুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শত শত মানুষ।
রাজ্যে ভারী শিল্প স্থাপনের যে চেষ্টা শুরু হয়েছিল বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রীর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরে সেই চেষ্টা আজও অব্যাহত। বৃহৎ শিল্প স্থাপনের জন্য গত কয়েক বছরে বহু চেষ্টা করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। হয়েছে বেঙ্গল বিজনের সামিট। পাশাপাশি কৃষিজাত উৎপাদন ও তার উপর ভিত্তি করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপরও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে গত কয়েক বছরে একধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সারা রাজ্যে গড়ে উঠেছে বহু দুগ্ধ সমবায় সমিতি। গুজরাটের দুগ্ধ উৎপাদক সংস্থা আমুলের আদলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গড়ে উঠেছে তাম্রলিপ্ত দুগ্ধ সমবায় সমিতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড বা সংক্ষেপে তামুল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গো পালকদের উৎপাদিত দুধ স্থানীয় ছোট ছোট সমবায় সমিতির হাত ধরে পৌঁছে যেত স্থানীয় দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে। সংগৃহীত দুধ সেখান থেকে চলে যেত তাম্রলিপ্ত দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে। তারপর সেই দুধ চলে যেত মাদার ডেয়ারী’র কাছে। বর্তমানে যা বাংলা ডেয়ারী। এভাবেই চলছিল। কিন্তু, গত এক মাসে একে একে বন্ধ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব কয়টি দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে দুধ সংগ্রহ। বন্ধ হয়েছে তাম্রলিপ্ত দুগ্ধ সমবায় সমিতি কো-অপারেটিভ লিমিটেডের অফিস। ফলে কাজ হারিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন দুগ্ধ উৎপাদক প্রান্তিক গো-পালক, দুগ্ধ পরিবহন, দুগ্ধ শীতলীকরণ সহ এই শিল্পের সাথে যুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শত শত মানুষ। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট হাজার লিটার পর্যন্ত দুধ প্রতিদিন সংগ্রহ হতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। হঠাৎ করে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুধ নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা। অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে গরু কিনেছিলেন। চরম সমস্যায় পড়েছেন সেইসব দুধ উৎপাদকরা।Latest posts by news_time (see all)
- চারধাম যাত্রার আগেই ভারী তুষারপাত - April 1, 2023
- ফের অশান্ত পাকিস্তান - April 1, 2023
- গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ - April 1, 2023