
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : প্রয়াত অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে নিজের বাড়িতে প্রয়াণ ঘটে তাঁর।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সন্তু মুখোপাধ্যায়। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চলছিল তাঁর। সঙ্গে ছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যাও। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শিল্পীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। একাধিক ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে তপন সিংয়ের ‘রাজা ‘ ছবি দিয়েই বড় পর্দায় প্রথম কাজ করা। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই কেরিয়ার শুরু এরপর সংসার সীমান্তে’, ‘হারমোনিয়াম’, ‘গণদেবতা’,’দেবদাস’, ‘ব্যাপিকা বিদায়’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ একাধিক ছবিতে নজর কেড়েছেন তিনি। তাঁর শেষ অভিনিত ছবি ২০১৩ সালের ‘ইট হার্ট’ ।এরই মাঝে বৈকুণ্ঠের উইল, দেবদাসের মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন একাধিক ধারাবাহিকে। প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেছিলেন ভবানীপুরের মিত্র ইন্সটিটিউশন থেকে। তারপর পদ্মপুকুর ইনস্টিটিউশন থেকে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাস করেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি গভীর টান ছিল অভিনতোর। ব্যস তাই তারপর থেকে আর পড়াশোনায় মন বসেনি।উচ্চমাধ্যমিকের পরই পড়াশুনোর পাঠ চুকিয়ে দেন তিনি। নাচ ও রবীন্দ্র সঙ্গীতেও দক্ষতা ছিল তার। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই সরাসরি তপন সিনহার নজরে পড়েন। আর তারপর এক ইতিহাস। বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের নায়ক হিসাবে তার নাম থেকে যাবে। উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মত অভিনেতাদের সাথে অভিনয় করেছেন তিনি । তার অনাড়ম্বর , সহজাত অভিনয় নজর কাড়ে সকলের। ফলত: তরুণ মজুমদার, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় এর মতো পরিচালকরাও তাদের ছবিতে অভিনয় করিয়েছিলেন সন্তুকে দিয়ে।বিপত্নীক সন্তু মুখোপাধ্যায় রেখে গেলেন তাঁর কন্যা স্বস্তিকা ও অজপাকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া।