
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বিশিষ্ট অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদের অকালপ্রয়ানে বিজেপিকেই আবার কাঠগোড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার রবীন্দ্রসদনে অভিনেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই বিজেপি ও সিবিআই-কে একহাত নিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের একটা এজেন্সির দ্বারা অত্যাচারিত হয়েই এই মৃত্যু। মানসিকভাবে তিনি নিজে অত্যন্ত বিপর্যস্ত ও ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে হয়তো জানতেও পারল না যে তাঁর অপরাধটা কোথায়? একটা বিনোদন চ্যানেলের ডিরেক্টর হিসেবে মাইনে নেওয়ার অপরাধে তাঁকে ১ বছর ১ মাস জেলে রেখে দেওয়া হল। দিনের পর দিন লাঞ্ছনা, গঞ্জনার শিকার হতে হল। বিজেপির চাপে দুর্বিষহ, দুর্দশাগ্রস্ত, আহত, ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাপস। তাঁর মৃত্যু চলচ্চিত্র জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।”
তবে শুধু তাপস পালই নয়, সুলতান আহমেদ ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর অকালমৃ্ত্যুর জন্যেও সিবিআইকে দায়ি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী বিভিন্ন সময়ে প্রোডাকশন হাউসে কাজ করেন। বিভিন্ন কোম্পানিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন। সেই কাজ করতে গিয়ে যদি অকালে মৃত্যু হয় কারও, সেটা কী ঠিক? সুলতান আহমেদের পরিবার সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওরা জানায়, সুলতান একটা ফোন পায়, তারপর চিঠি পেল, বাথরুমে গেল, মারা গেল। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীও মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অকালে চলে গেল। এখন প্রায় একবছর ধরে জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন শ্রীকান্ত মেহতা। ওর-ও শরীর ভাল নয়। একবার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে।” তবে সমস্ত কিছুর মধ্যেও তাপসের এই অকাল মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেননা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “তাপসের তো এখন যাওয়ার কথা নয়। তাপসের মুখের দিকে আমি আজকে তাকাতে পারছি না। একি খেলা চলছে। আমি মর্মাহত, শোকাহত, দুঃখিত।” ১২টা নাগাদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রবীন্দ্র সদনে যাম মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে ফুল-মালা দিয়ে প্রয়াত অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী নন্দিনী ও মেয়ে সোহিনী। তাঁদের সান্তনা দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।