
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : শাপে বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীদের। করোনা কালে তাঁরা শুরু বাড়িতে বসে বই দেখে উত্তর লেখারই সুযোগ পাচ্ছে না, প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে ২৪ ঘন্টা তাঁরা সময় পাচ্ছে উত্তর লিখে তা স্ক্যান করে বা মেল করে ফেরত পাঠাবার। এমন অভূতপূর্ব ব্যবস্থার জন্য এখন সবাই ধন্য ধন্য করছে কোভিড-১৯ কে। যদিও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ভয় এই ভাবে মূল্যায়ণ হওয়ার জন্য ভবিষ্যতে না এই পরীক্ষার্থীদের পেশাগত বা শিক্ষাগত জীবনে ধাক্কা খেতে হয়।
জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বৈঠক করেন ১৫২টি কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে। সকলেই বৈঠকে যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য কোনও অ্যাডমিট কার্ড তৈরি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয় ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে ছাত্রছাত্রীরা সাদা কাগজে উত্তর লিখবেন। অ্যাডমিট না থাকায় রোল নম্বর থাকবে না। উত্তরপত্রের শুরুতে পড়ুয়াদের শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে হবে। প্রশ্ন পাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইমেলের মাধ্যমে উত্তরপত্রের ছবি তুলে বা স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। ইন্টারনেটে সমস্যা থাকলে যে কলেজে পড়ুয়া পড়েন, সেখানেই ‘হার্ড কপি’ জমা দেওয়া যাবে।
তবে যে সব পরীক্ষার্থীরা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন তাঁরা কিভাবে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন তা নিয়ে বুধবারের বৈঠকে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। সোনালীদেবী জানিয়েছেন, ‘কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। সেখান থেকে উত্তর লিখে ছাত্রছাত্রীরা কলেজে জমা দেবেন। পরীক্ষা হবে ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে। কলেজগুলিকে ৩১ অক্টোবরের আগে খাতা দেখে নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যে কলেজে পড়েন, সেই কলেজের অধ্যাপকরাই মূল্যায়ন করবেন। ফলপ্রকাশ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে।’
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022