নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : অন্তর্বতীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন মধ্যপ্রদেশের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি লেখেন ‘দীর্ঘ ১৮ বছর কংগ্রেসের সাথে কাজ করার পর, এবার আমার সরে যাওয়ার সময় এসেছে, আমি আমার ইস্তফাপত্র পাঠালাম। এই দলে থেকে আমি দেশের জন্য আর কাজ করতে সক্ষম নই, তবে আমি আমার দলের সকল সদস্যের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো’ ।
আজ মঙ্গলবার বিজেপি তে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
এই ঘটনায় সংকটে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার।
মধ্যপ্রদেশের ২২ মন্ত্রী সোমবার রাতেই ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠনের চেষ্টায় কমলনাথ।
গত ২৪ ঘন্টায় মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে মহানাটক ঘটে চলেছে। প্রকাশ্যে কংগ্রেস শিবিরের গোষ্ঠীদন্দ্ব। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী ৬ মন্ত্রী সহ ১৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, তাদের ফোন বন্ধ ।
এই পরিস্থিতিতে টালমাটাল অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সোমবারই দিল্লিতে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। রাতে তড়িঘড়ি ফেরেন ভোপালে। রাতেই মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মন্ত্রিরা একে একে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেন।
বৈঠকে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়। এই পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে কমলনাথ বিজেপির ক্ষমতা দখলের জন্য ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেন।
কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দ্বিগ্বিজয় সিং সহ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের চালিকাশক্তি অনেকেই। বর্তমানে রাজ্যে দলের রাশ রয়েছে কমলনাথ শিবিরের হাতে। এর আগেও কমলনাথের বিরুদ্ধে জ্যোতিরাদিত্যকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। ফের রাজ্যসভায় যাওয়ার রাস্তা পাকা করতেই কি তবে কমলনাথ সরকারকে বিপদে ফেললেন জ্যোতিরাদিত্য।