
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : নতুন বছরের শুরু থেকেই এক এক করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হানা দিতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস করোনা। বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশ এই ভাইরাসের কবলে। কিন্তু বিশ্ববাসীকে করোনার কবল থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই চিন, আমেরিকা ছাড়াও একাধিক দেশে এর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিন করোনা রোগীর শরীরে প্রয়োগ করোর আগে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। ফলে তা বেশ সময়সাপেক্ষ হবে বলেই মত গবেষকদের। এদিকাংশের দাবি, ট্রায়ালের পর অবশেষে মানব শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হলে তার জন্য কমপক্ষে ১৮ মাস সময় লাগবে। তবে অনেক দেশের গবেষকদের তরফে জানানো হয়েছে চলতি বছরেই বাজারে মিলবে করোনার প্রতিষেধক। সব মিলিয়ে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে একপ্রকার ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। এবার সেই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে কোমর বাঁধল ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড।
মূলত সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে ইনঅ্যাক্টিভেটেড কোভিড ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে চলছে এই ভারতীয় এই সংস্থা। তবে এবিষয়ে প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেডকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সমস্থা রেফানা। এবিষয়ে প্যানাসিয়া বায়োটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজের জৈন বলেন, “এই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরি করা হলে, তা অনেক বেশি নিরাপদ এবং রোগীর শরীরে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এই উদ্যোগে আমাদের সাহায্য করছে মার্কিন কোম্পানি রেফানা। দুই কোম্পানির মিলিত প্রয়াসে আগামী বছরের শুরুতেই ভারতের বাজারে এই ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন বায়োটেক কোম্পানির সাহায্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পৌঁছে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।” ভ্যাকসিন তৈরি প্রসঙ্গে প্যানাসিয়া বায়োটেকের এক গবেষক বলেন, “আস্ত ভাইরাসকে কোনওদিনও ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় না। সব সময়েই তাকে দুর্বল করে ভ্যাকসিন বা ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের সারফেস প্রোটিন বা স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তাকে পিউরিফাই করার পরেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। পিউরিফায়েড ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা নেই, তাই রোগীর শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারবে না। শরীরে ঢুকলে অ্যান্টিজেন হিসেবে কাজ করবে যার প্রতিরোধে দেহকোষে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।” রাজের জৈনের কথায়, প্রথম দফায় ৫০ টি ভ্যাকসিন প্রস্তিত করা হবে। অনেকের ধারনা করোনা ভ্যাকসিন অনেক বেশি দামি হবে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক কম দামে ভারতের বাজারে এই ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা করছে। মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ট্রাাল যদি সফল হয় তাহলে আগামী বছরের একেবারে শুরুর দিকে চার কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ বাজারে নিয়ে আসবে এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, দিল্লি ছাড়াও বর্তমানে দেশের আরও ৫টি রাজ্যে রিসার্চ ইউনিট রয়েছে এই ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেকের।- দুর্ঘটনায় মৃত্যু পরিজায়ী শ্রমিকের - June 3, 2023
- দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম, খোয়া গিয়েছে টাকাও - June 3, 2023
- দুর্ঘটনার কবলে একই পরিবারের ৩ সদস্য, নিখোঁজ ২! - June 3, 2023