স্বপ্নের গ্ল্যামার দুনিয়া এখন অতীত! দারিদ্রতা ফের নিত্যসঙ্গী রানু মন্ডলের

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সোদিন রানাঘাট স্টেশন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কয়েক কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর গান। তাণর নামের পাশ থেকে ‘ভবঘুরে’ বিশেষণ উঠিয়ে বসানো হয়েছিল ‘লতাকন্ঠি’। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে রানু মন্ডলের। একটা সময় স্টেশন থেকে হঠাৎ করেই তিনি পৌঁছে যান রূপোলি পর্দায়। বলিউডের তাবড় তাবড় সঙ্গিত শিল্পীরা রানু মন্ডলের গানে মুগ্ধ হন। এমনকি তাঁকে দিয়ে একটি ছবিতে গানও গাইয়েছিলেন হিমেশ রেশমিয়া। গান গাওয়ার বরাত পেয়েছিলেন বলিউডের আরও বেশ কিছু গানে। কিন্তু বর্তামানে কোথায় কী! ঝাঁ-চকচকে গ্ল্যামার দুনিয়া এখন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রানুর কাছে। আবার তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর অতীতের জীবনযাত্রায়। লকডাউনের মধ্যে আর পাঁচটা দীনদুঃখি মানুষের মতো তাঁর নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থা। 

‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়।’ এই গানই যেন রানু মন্ডলের জীবনকে বদলে দিয়েছিল। রানাঘাট স্টেশনে বসে নিজের মনেই গাইছিলেন এই গান। ঠিক তখনই এক নিত্যযাত্রী অতীন্দ্র চক্রবর্তী মোবাইলে সেটি রেকর্ড করে ফেসবুকে শেয়ার করেন। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে থাকে সেই পোস্ট। সেই গানের ভিডিও চোখে পড়ে বলিউডের নামজাদা সব সঙ্গিত শিল্পীদেরও। রূপকথার গল্পের মতো এক লাফে তিনি রানাঘাট ছাড়িয়ে পৌঁছে যান স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে। একটি রিয়্যালিটি শো-তেও আমন্ত্রিত হন তিনি। হিমেশের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি রেকর্ড করেন ‘তেরি মেরি কাহানি’।

প্রায় মাস দুয়েক আগেও কোন এক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কেরল যান রানু। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার পরেই নাকি তাঁর অবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে। করোনার জেরে লকডাউন চলায় গরিব মানুষগুলোর মুখে এপ্রিল মাসে শেষ খাবার তুলে দিতে দেখা গিয়েছে রানু মন্ডলকে। তার পর থেকে আর কোন পাত্তা নেই তাঁর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রানু বলেন, এখন তাঁর দুবেলা ঠিক করে খাবার জুটছেনা। এখন তাঁর নুন আনতে পান্তা ফুরানো দশা। কখনও কখনও মুড়ি খেয়েও তাঁকে দিন কাটাতে হয়। অনেক সময় প্রতিবেশীরাও তাঁকে খাবার দিয়ে যায় বলে জানান রানু। রানুর দুঃখ এখন কেউ আর আগের মতো তাঁর খবর নেননা। তবে নিজের এই সংকটের দিনেও গান গাইতে ছাড়ছেননা ‘লতাকন্ঠি’ রানু মন্ডল।

 

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube