সোমবার থেকে চলবে মেট্রো, লোকাল ট্রেন এখনই নয়

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : অবশেষে প্রকাশিত হল বিজ্ঞপ্তি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মানে সোমবার থেকে কলকাতার পাতালপথে ছুট দেবে মেট্রো রেল। তবে সেই পরিষেবা মিলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। যদিও দুই প্রান্তের দুই স্টেশন অর্থাৎ কবি সুভাষ ও নোয়াপাড়া থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টায়। এতদিন প্রতি স্টেশনে এক একটি ট্রেন দাঁড়াতো ২০ সেকেন্ড করে। কিন্তু এবার থেকে পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে ৩০ সেকেন্ড করে। সেই কারনেই সন্ধ্যা ৭টায় দুই প্রান্ত থেকে শেষ ট্রেন ছেড়ে তা গন্তব্যে পৌঁছাতে রাত ৮টা হয়ে যাবে। তাই দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭টার পর আর ট্রেন মিলবে না। একই সঙ্গে বুধবারে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কনটেনমেন্ট জোনে মেট্রোর যে স্টেশন পড়বে সেই স্টেশন খোলা থাকবে, সেখানে ট্রেন থামবে, যাত্রীরা ওঠানামাও করতে পারবেন। খালি দেখা হবে সেই স্টেশনের কোন কোন গেট ওই কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় পড়ছে। যেগুলি পড়বে না সেগুলি খোলা থাকবে। যাত্রীদের সেই সব গেট দিয়েই স্টেশনে ঢুকতে ও স্টেশন থেকে বার হতে হবে।
 
একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরোগ্য সেতু অয়াপ ছাড়া মেট্রোয় চড়া যাবে না। অর্থাৎ স্মার্টফোন ছাড়া মেট্রোয় চড়া যাবে না। একই সঙ্গে ই-পাস সংগ্রহ করতে হবে ১২ ঘন্টা আগে থেকে যাত্রার ১ ঘন্টা আগের মধ্যে। প্রত্যেক ই-পাস হোল্ডার ১ ঘন্টা সময় পাবেন। সেই সময়ের মধ্যেই তাঁকে ট্রেন ধরে গন্থব্যে চলে যেতে হবে। না গেলে পাসের বৈধতে বাতিল হবে। প্রত্যেককে মুখে মাস্ক পরতে হবে এবং স্টেশনে থাকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত মুছে নিতে হবে। স্টেশনে দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়াতে হবে। ট্রেন এলে হুড়োহুড়ি করে ওঠা যাবে না। প্রতিটি স্টেশনে কাউন্টার খোলা হবে পুরোনো স্মার্টকার্ড রিচার্জ করার জন্য ও নতুন স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য। স্মার্টকার্ড থেকে কাটা হবে ভাড়া। আর ই-পাস থাকবে যাত্রার অনুমতি সূচক হিসাবে। স্টেশনে ঢুকতে গেলেই ই-পাস দেখাতে হবে। সেখানেই বডি টেম্প্রেচারও মাপা হবে। সর্দি, কাশি, জ্বর থাকলে যাত্রীকে স্টেশনে ঢুকতেই দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে মেট্রোর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর মেট্রো চললেও তা চলবে শুধুমাত্র নিট পরীক্ষার জন্য। সেই দিন তাই ট্রেনে চড়তে গেলে নিট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে রাখতেই হবে।
 
এদিকে মেট্রো রেল চলাচল শুরুর সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন খুব শীঘ্রই হয়তো লোলাল ট্রেন চলাচলও শুরু হবে। এমনকি এই খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল যে চলতি মাস থেকেই চালু হয়ে যেতে পারে শহরতলির ট্রেন। কিন্তু বুধবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা জানান, এখনই এই ধরনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ভাবনাচিন্তা চলছে। লোকাল ট্রেন না চালানোর কারন হিসাবে তিনি বলেন, হাওড়া ও শিয়ালদা ডিভিশনে নিত্যদিন ৩০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। রয়েছে প্রায় দেড় হাজার ট্রেন ও ২০০টি স্টেশন যেখানে এই সব লোকাল ট্রেন থামে। এখন রেলের হাতে এই পরিকাঠামো নেই যা দিয়ে এই ভিড় বা যাত্রী চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যে নিয়মই মানা হোক না কেন লোকাল ট্রেনে যাত্রীভিড় নিয়ন্ত্রণ কার্যত অসম্ভব। তাই এই মুহুর্তেই এই রাজ্যে পূর্ব রেল লোকাল ট্রেন চালানোর পথে হাঁটবে না। তবে রাজ্যে ট্রেনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রেলমন্ত্রকে জানানো হবে। বিশেষ করে শিয়ালদা-লালগোলা, হাওড়া-আসানসোল, হাওড়া-রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ, হাওড়া-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ-মালদা টাউন, হাওড়া-মালদা টাউন-এনজেপি, হাওড়া-মালদা টাউন- বালুরঘাট, শিয়ালদা-এনজেপি-নিউকোচবিহার প্রভৃতি রুটে এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর প্রস্তাব পাঠানো হবে।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube