রোগী মৃত্যু আটকাচ্ছে না হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ট্রায়াল বন্ধ করল হু

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও তার পরীক্ষামূলক পদ্ধতি (ক্লিনিকাল ট্রায়াল)-এর কাজ এখনও জারি রয়েছে। সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই কোন ভ্যাকসিন করোনা রুখতে সফল হচ্ছে তা বিচার করা হবে৷ এদিকে সেই আবহে ফের একবার ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর ট্রায়াল বন্ধ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ ভ্যাকসিন তৈরির আগে এই প্রতিষেধকের উপরই ভরসা করেছিল বিশ্বের একাধিক দেশ। ভারতেও চলছে এই ওষুধ প্রয়োগ।

যদিও শনিবার হু-এর তরফে বলা হয় এইচআইভি/এইডস রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বন্ধ করার জন্য যে তদারক কমিটি ছিল তাদের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্রহণ করেছে। হু-এর পক্ষ থেকে এও জানান হয়েছে যে অন্তর্বতীকালীন ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে যে লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের দেহে বিশাল কিছু উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ এমনকী ঠেকানো যাচ্ছে না রোগীর মৃত্যুও।

তবে তাঁরা এও জানান যে এই ওষুধগুলি দেওয়ার ফলে রোগীদের দেহে বিশেষ কোনও উপসর্গও দেখা দিচ্ছে না। এমনকী এই ওষুধ প্রয়োগের সঙ্গে মৃত্যুরও কোনও সম্পর্ক নেই৷ যেহেতু কার্যকারীতা নেই তাই হু-এর মত সবদিক বিচার করে এই ওষুধের ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হোক৷বিবৃতিতে স্পষ্ট জানান হয়েছে যে, এই নির্দেশ শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এ বিষয়ে হু-এর বক্তব্য, ‘‘এই নির্দেশ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ওই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে অথবা হাসপাতালে ভর্তি না থাকলে সে ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করা নিয়ে যে সব গবেষণা চলছিল, তাতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’

যদিও ভারতে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে এই ওষুধ। একদিনে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারেরও বেশি৷ গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬১৮ জনের।

 

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube