
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সরকারি হোক বা বেসরকারি, রোগী ফেরালে আর রক্ষে নেই হাসপাতালের। বাতিল হতে পারে লাইসেন্স। বিভাগীয় পদক্ষেপ হতে পারে সরকারি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। বুধবার নবান্ন থেকে এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
নবান্ন থেকে জারি ২টি নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হোক বা না-হোক, কোনও রোগী হাসপাতালে এলে তাঁকে ভর্তি নিতে হবেই। কাউকে ফেরানো চলবে না। রোগী ফেরালে কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে বেসরকারি হাসপাতালকে। সেক্ষেত্রে তাদের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল হতে পারে। সরকারি হাসপাতাল রোগী ফেরালে তদন্তের মুখে পড়তে হবে তখন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও আধিকারিকদের। আর দোষী প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ২০১৭ সালের আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগী ফেরানোর খবর আসছে। নানা অছিলায় রোগী ফেরাচ্ছে হাসপাতালগুলি। বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে ‘বেড নেই’-এর খেলা চলছে। সরকারি হাসপাতালে চলছে রেফার গেম। সব থেকে করুণ অবস্থা কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের। তাদের বাসস্থানের ঠিকানা জানা মাত্র বিদায় করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। প্রথমত, সরকারি হাসপাতালের জন্য কেন নির্দেশিকা জারি করতে হল নবান্নেকে? তবে কি সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের? তাই আইনি পদক্ষেপের ভয় দেখিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে ডাক্তারদের? দ্বিতীয়ত, গত সপ্তাহেই বেসরকারি হাসপাতালগুলির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব? সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতাল কি সেই নিয়ম মানছে না? নবান্নের কথা কি শুনছে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি?Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022