
।।দেবাশিস মৌলিক।।
রাজ্য জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান। দক্ষিণের জেলা বাঁকুড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। মূলতঃ শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরাই এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, অ্যাডিনো ভাইরাস একটি ডিএনএ ভাইরাস। সর্দি-কাশি-হাঁচির মাধ্যমে একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের দেহে প্রবেশ করে।অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রিমতদের মধ্যে সর্দি, কাশি, হাঁচি, জ্বর, গলাব্যাথার উপসর্গের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। প্রবল শ্বাসকষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরী। অন্যদিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, সর্দি, কাশী, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। নতুন করে ৮ জন সহ এই মুহূর্তে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৭০ জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত কোন রোগীকেই ভেন্টিলেশানে রাখার প্রয়োজন হয়নি বলেই জানা গেছে।
এবিষয়ে বাঁকুড়ার ডেপুটি সি.এম.ও.এইচ-৩ ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, এই মুহূর্তে মাস্ক পরা জরুরী, অ্যাডিনোভাইরাস যেহেতু ‘ছোঁয়াচে’ তাই জ্বর, সর্দির উপসর্গ থাকলে শিশুদের ঐ ক’টা দিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো। যেহেতু শিশুদেরই এই রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশী তাই তাদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন জরুরী বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুণ্ডু আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়কালে শিশু ও বড়দের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সাবধানতা অবলম্বন জরুরী বলে জানান। তিনি বলেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে মূলতঃ শিশুরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বড়দের মাধ্যমে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই বড়রা আক্রান্ত হলে শিশুদের থেকে যেমন দূরত্বে থাকতে হবে, তেমনি শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে তাকেও সবার থেকে আলাদা রাখতে হবে। তবে একাধিক রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হলেও এই মুহূর্তে কোন রোগীও পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন।
Latest posts by news_time (see all)
- দেখা দিলেন বিগ বি - March 27, 2023
- প্রতিবাদী ইসরায়েলের নাগরিকরা - March 27, 2023
- তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর - March 27, 2023