
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের জাবনযাত্রার সাথে যেন ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাস। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ আড়াই মাস গৃগবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন দেশবাসী। কিন্তু দীর্ঘ এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও এবার হয়তো ঘুরে দাঁড়াতেই হবে সকলকে। তাই আগামী ৮ জুন থেকে কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় খোলা হচ্ছে রেস্তরাঁ, ক্যাফে। কিন্তু ক্যাফে বা রেস্তরাঁ খুলছে মানেই যে আবার আগের ছন্দেই ফিরছে সমস্তকিছু তা কিন্তু একেবারেই নয়। যাঁরা এখন ভাবছেন বন্ধু-বান্ধবী বা প্রেমিক প্রেমিকাকে নিয়ে এবার প্রিয় রেস্তরাঁয় প্রিয় খাবারটা খেয়ে আসবেন, সাথে সুন্দর সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সকলকে একটি চমক দেবেন, তাহলে অপনি ভুল ভাবছেন।
পঞ্চম দফার লকডাউন তথা প্রথম দফার আনলকে ইতিমধ্যেই বহু ক্ষেত্রে মিলেছে ছাড়পত্র। আর এবার রেস্তরাঁ-ক্যাফে খোলার ক্ষেত্রেও মিলল সবুজ সংকেত। যদিও সেগুলি সাধারণ মানুষের কাছে ফিরবে একেবারে নতুন রূপে। দুটি চেয়ারের মধ্যে যেমন রাখা হবে দূরত্ব তেমনই এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলের মাঝেও থাকবে প্রয়োজনীয় দূরত্ব। বলা চলে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম সবই মেনে চলা হবে। তবে শহরে রেস্তরাঁ, ক্যাফে খোলার মতো খবর নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে ভোজনরসিক মানুষদের। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ায় অনেক রেস্তোণরাই এই মুহূর্তে তাঁদের ঝাঁপ খুলতে সমর্থ হবেনা। ইতিমধ্যেই ভাড়া মেটাতে না পারায় হাতছাড়া হয়েছে বহু ভাড়াতে নেওয়া দোকান। ঝারি মানের রেস্তোরাঁ কর্মচারীরা ঠিকভাবে বেতন না পাওয়ায় কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে এই মুহুর্তে সব দিক সামাল দিয়ে বহু ছোট ও মাঝারি রোস্তোঁরার পক্ষে তাঁদের দোকান খোলা অনেকখানি সমস্যার হবে। তবে করোনা আবহের মধ্যেও সোমবার থেকে যে সমস্ত বড় ও মাঝারি রেস্তোঁরাগুলি তাঁদের ঝাঁপ খুলতে চলেছে তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সমস্ত আয়োজন করবেন। আগে যেখানে একসাথে ১০০ জন একটি রেস্তোঁরায় বসে খাবার খেতে পারতেন এবার থেকে সেই সংখ্যাটা কনমে হবে ৬০। অবার একই টেবিলে যেখানে ১০ জনের আসন থাকত সেই আসন সংখ্যা কমে এবার করা হবে ৬। মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হবে। যদি কউ মাস্ক ছাড়া আসেন সেক্ষেত্রে রেস্তরাঁর তরফই তাদের মাস্ক দেওয়া হবে। স্যানিটাইজারও ব্যবস্থা থাকবে। তবে এক্ষেত্রে রেস্তোঁরায় খাবার খেতে যাওয়া আগের তুলনায় অনেকটাই ব্যায়বহুল হতে পারে বলে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন মালিকরা। তবে মাঝারি বা ছোট রেস্তোঁরা গুলিতে কী হবে। তা নিয়েই এখন চিন্তা। এবিষয়ে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ইস্টার্ন রিজিওনের সভাপতি, সুদেশ পোদ্দার বলেন, “হোটেল-রেস্তরাঁ ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। লকডাউনের ধাক্কা সামলে কত হোটেল-রেস্তরাঁ ফের খুলে আগের মতো ব্যবসা করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে ৮ জুন থেকে আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনেই রেস্তরাঁ চালুর কথা বলেছি মালিকদের।”Latest posts by news_time (see all)
- জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমায় - June 1, 2023
- সাপের কামড়ে ফের ওঝা গুনিনের দ্বারস্থ, ফলে মৃত্যু - June 1, 2023
- অমিল বেতন, বিক্ষোভে কর্মচারীরা - June 1, 2023