ভাষা দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্যে ভারত-বাংলাদেশ

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : অমর একুশে ভাষা দিবস উপলক্ষে বেনাপোল ও পেট্রাপলের বন্দরের  নোম্যান্সল্যান্ডে প্রতিবছরের মত এবছরও শহিদ বেদী তৈরি কথা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো শ্রদ্ধার্ঘ্য শহীদ বেদীতে অর্পণ করেন দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের ছিলেন বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ ভাইস চেয়ারম্যান জোসনা আড্ডা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁ পুলিশ সুপার জয়িতা বসু সহ বনগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন কাউন্সিলারেরা। প্রধান অতিথি হিসেবে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

তবে এদিন প্রশাসন করাকরিতে সমাধান মানুষের প্রবেশ করার অধিকার ছিল না। নিদিষ্ট কিছু মানুষকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। নোম্যান্সল্যান্ডের বসার আসন ছিল ফাকা।  দুই দেশে দুটি মঞ্চ করে ভাষা  দিবসের উদযাপন করা হল।অনেক মানুষ পেট্রাপোল সীমান্তের ভাষা দিবসে অংশ গ্রহন করতে এসে প্রবেশ না করতে পেরে মন ভার করে বাড়ি ফিরছেন।

ভারত বাংলাদেশের উৎসাহী নাগরিকরা ভাষা দিবসের এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় থাকে সারা বছর, সেই সমস্ত নাগরিকরা জানাচ্ছেন এই বছর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হতে না পেরে মন খারাপ তাদের।  বিগত বছরগুলিতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হতো নোম্যান্সল্যান্ডে, সেই সময় দুই দেশের নাগরিকরাও ভাষা দিবসের সেই অনুষ্ঠানে সামিল হতো। তবে এই বছর নোম্যানসল্যান্ডে যৌথভাবে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না, দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই দেশের ভূখন্ডে দুটি পৃথক মঞ্চ করে এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। ফলে ভাষা দিবসের আবেগে ভাটা পড়েছে বলে মত তাদের ।

বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ভারত থেকে কোন মন্ত্রী ভাষা দিবসের এই অনুষ্ঠানে সামিল হননি তাই কোথাও যেন ভাষা দিবস এর অনুষ্ঠানে সেই পুরনো জৌলুস কিছুটা হলেও কমেছে।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube