ভারত ও চিনের একে অপরের পাশে থাকা উচিত, শত্রুতা না করে, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েলডং

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : “ভারত ও চিনের একে অপরের সাথে সৌভ্রাতৃত্ব থাকা উচিত, শত্রুতা না করে” – বললেন ভারতের চিনা অ্যাম্বাসাডার সান ওয়েলডং। শুক্রবার ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত সম্পর্কে আলোচনা অত্যন্ত স্পর্শ্বকাতর এবং জটিল। এই সমস্যার সুরাহা একমাত্র ‌যৌথ আলোচনার মাধ্যমে একটি মধ্যস্থতার জায়গায় এলে তবেই পাওয়া ‌যাবে।

শুক্রবার চিনা এমব্যাসির ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়, ‌যার বিবরণে লেখা ছিল, চিন ও ভারতের সম্পর্ককে ফের স্বাভাবিক আবস্থায় নিয়ে আসতে সমস্ত মতভেদকে দুর করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এই উদ্যোগ। এই ভিডিওতে সান বলেন, এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে বারবার কিছু সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এবং এরফলে ঐক্য নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্যেই তিনি ৫টি ধাপের একটি আলোচনার কথা বলেন এই ভিডিও বার্তায়।

চিনা রাষ্ট্রদুত সান ওয়েলডং জানান, চিন এবং ভারতের একে অপরের মোকাবিলা না করে শান্তি বজায় রাখা উচিত। দুই দেশরই হিত হয় এমন একটি সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজনীয়। এই দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কে বিশ্বাস রাখা প্র‌য়োজন, অবিশ্বাস না। তা আখেরে ক্ষতিই করবে দুই দেশের। চিন ও ভারতের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে ‌যাওয়া উচিত পুরোনো কথা ভুলে।

এর সাথে সাথে তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে ‌যে আলোচনা শুরু হয়েছিল তাতে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার ব্যপারেই সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এ বিষয়ে একত্রে কাজ করতে রাজি দুই দেশ। এই ভিডিও বার্তা সান শুরু করেন, গালওয়ান উপত্যকায় চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে ‌যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সেই বিষয় নিয়ে। তিনি এই ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি দুই দেশের মানুষই দেখতে চায়না।

গত ৫ই জুলাই দুই দেশের প্রতিনিধি, চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরমর্শদাতা অজিত দোভাল-এর মধ্যে ‌যে বৈঠক হয় তাতে দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে ‌যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা ‌যৌথ ভাবে নিস্ক্রিয় করার কাজ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

সামরিক প্রধানদের মধ্যে হওয়া বৈঠকের সীদ্ধান্ত অনু‌যায়ী, সীমান্ত এলাকা থেকে ধীরে ধীরে সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে চিন। এর ফলে এলাকায় উত্তেজনা খানিকটা কমবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তিনি এও জানান, গালওয়ান ভ্যালিতে ঘটে ‌যাওয়া সংঘর্ষের কারণে ভারতে এক দল মানুষের মধ্যে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে একটি নেতিবাচক ভাবনা দেখা গেছে।  এবং এরা সকলেই দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ‌যে আলোচনা হয়েছে তার ও নেতিবাচক অর্থ বের করছেন।   

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube