বিশ্বকবিকে যথার্থ সম্মান খড়্গপুর ট্রাইবাল শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বসন্ত উৎসবের দিন খোলা পিঠে ও বুকে অশ্রাব্য গালিগালাজ লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বেশ কিছু তরুণ-তরুণীর ছবি। রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সংস্কৃতি মহল সব ক্ষেত্রেই এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে এবার সেই লজ্জার ঘটনার ‌যোগ্য ‌জবাব দিলেন চার তরুণী। একইভাবে এদিন তাঁরা হলুদ শাড়ি পরে, খোপায় ফুল লাগিয়ে আবির দিয়ে খোলা পিঠে রাঙিয়ে তুললেন কিছু শব্দ। তবে তা কোন গালাগালি নয়। তাঁদের পিঠে বড় বড় করে লেখা, ‘কবি’ ‘গুরু’ ‘ক্ষমা’ ‘করো’। তাঁদের এহেন প্রতিবাদে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনেকেই।

শনিবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব,  তাতেই শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক আয়োজনের সাথে সাথে; ‘কবিগুরু’রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করে, এ রাজ্যেরই কিছু শিক্ষার্থীর বিকৃত মানসিকতার প্রতিবাদ জানায়।  তাদেরই ‘পন্থা’ অবলম্বন করে! খোলা পিঠে আবির দিয়ে ছাত্রীরা লিখলেন, “কবিগুরু ক্ষমা করো।” নিমেষে সে ছবি ভাইরাল হলো! ছাত্রীদের এই অভিনব প্রতিবাদে উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে, কর্তৃপক্ষ, সোশ্যাল মিডিয়া ।

খড়্গপুর ট্রাইবাল শিক্ষক তথা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আরণ্যক আচার্য বললেন, তারা অভিভূত! ‘কবিগুরু’র প্রতি অপমানের উপযুক্ত উত্তর  শিক্ষার্থীরা প্রয়োগ করেছে, তাতে তারা গর্বিত। ‘কবিগুরু’র প্রতি এই শ্রদ্ধা অর্পণই আমাদের পাথেয় হওয়া উচিত বলেই তিনি মনে করেন। রবীন্দ্র সংগীতের এরূপ অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুক সারা বাংলা।

এবিষয়ে ওই তরুণীরা বলেন, রোদ্দুর রায়ের গান অনুকরণ করে রবীন্দ্রভারতীতে তরুণ-তরুণীরা ‌যা করেছেন তাতে রবীন্দ্রভারতীর সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত হয়েছে। তার ‌যোগ্য জবাব দিতেই খড়গপুর ট্রাইবাল শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube