
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : ভারতে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য নতুন শর্তাবলী প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। আগামী ৮ অগস্ট থেকে কার্যকর হবে নয়া শর্তাবলী।
নতুন নিয়মে, বিদেশ থেকে আসা সমস্ত যাত্রীকে যাত্রা শুরুর অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে নয়াদিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অনলাইন পোর্টালে (www.newdelhiairport.in) সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম পূর্ণ করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভারতে পৌঁছানোর পরে ৭ দিন নিজের খরচায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন-সহ মোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয়েও আত্মঘোষণা করতে হবে ওই পোর্টালে। তবে এই ব্যবস্থায় ছাড় দেওয়া হয়েছে অন্তঃস্বত্তা, মৃতের আত্মীয়, মারাত্মক অসুস্থ এবং ১০ বছরের কমবয়েসি শিশুর বাবা-মা’কে। ছাড় পেতে গেলেও যাত্রার কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে পোর্টালে কারণ জানিয়ে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পোর্টালে প্রকাশিত সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গ্রাহ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন না থাকতে চাইলে যাত্রীদের কোভিড (RTPCR) পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নতুন নিয়মে। তবে ওই পরীক্ষা যাত্রা শুরু করার অন্তত ৯৬ ঘণ্টা আগে করাতে হবে। পোর্টালে পরীক্ষার রিপোর্ট আপলোড করার পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে রিপোর্টের সত্যতা সম্পর্কে আত্মঘোষণাও করতে হবে পোর্টালে এবং পরবর্তীকালে রিপোর্টের বৈধতা ভুল প্রমাণিত হলে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই রিপোর্ট ভারতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছেও দাখিল করা যাবে পবলে জানানো হয়েছে। ভারতে পৌঁছানোর পরে থার্মাল স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে যদি কোনও যাত্রী কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েন, সে ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: ১) যদি কোনও যাত্রী উপসর্গহীন, প্রাক-উপসর্গজনিত অথবা অতি মৃদু উপসর্গের অধিকারী হন, তবে তাঁকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন বা সরকারি বা বেসরকারি কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকতে হবে। ২) যাঁদের মৃদু, মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ দেখা যাবে, তাঁদের বিশেষ কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হবে। এ ছাড়া, প্রত্যেক বহিরাগত যাত্রীর মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হবে এবং থার্মাল স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই কোনও যাত্রীদের বিমানে উঠতে দেওয়া হবে। যে সমস্ত যাত্রী সড়কপথে ভারতে প্রবেশ করবেন, তাঁদেরও উপরে উল্লিখিত সমস্ত নিয়ম মানতে হবে। শুধুমাত্র উপসর্গহীন যাত্রীদেরই সড়কপথে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। থার্মাল স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে উপসর্গ ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। গত ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রীবিমান পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, জানিয়েছে ডিজিসিএ। সম্প্রতি ‘ট্রান্সপোর্ট বাবল’-এর সাহায্যে ধীরে ধীরে যাত্রী বিমান পরিষেবা চালু করতে আমেরিকা, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে দিল্লি। কিছু দিনের মধ্যে ব্রিটেনের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022