
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : “গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান”-এর সুবিধা কেন পাবেন না পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা, এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলেও এবার সরাসরি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বার্তা দিতে একটি ভার্চুয়াল সমাবেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাতেই তিনি কেন্দ্রের রোজগার প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের শ্রমিকরা না পাওয়ার ব্যাপারে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে একথাও বলেন যে, “রাজ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিতে অনীহা” ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যারা করোনা ভাইরাসের সঙ্কটের সময় জারি লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আগ্রহ দেখায়নি, একথাও বলেন অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা সীতারামন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার বরাবরই জনগণের জন্যে নেওয়া কেন্দ্রের সমস্ত নীতির বিরোধিতা করে আসছে … ৬টি রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তনের পরে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তা করেনি”। “আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের ১১৬ টি জেলার জন্যে পরিযায়ীদের জন্যে একটি প্রকল্প চালু করেছেন, কিন্তু তৃণমূল সরকার আমাদের সঙ্গে সেরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও তথ্য ভাগ করে না নেওয়ায় বাংলার কোনও জেলাকেই এই রোজগার অভিযানের অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। বাংলায় ক্ষমতাসীন সরকার চায় না কেন্দ্রের কোনও জনকল্যাণমুখী প্রকল্প কার্যকর করা হোক”, একথাও বলেন সীতারামন। এর আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের রোজগার প্রকল্প “গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান”-এ পশ্চিমবঙ্গের নাম অন্তর্ভুক্ত না থাকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। সেই সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কেন্দ্রের সঙ্গে অসহযোগিতাকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে চিন-ভারত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন সীতারামন। “তবে আমি অবশ্যই একটি ব্যাপারের জন্যে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সাধুবাদ জানাব, অন্তত চিন-ভারত সীমান্ত ইস্যুতে তিনি কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন”, বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি ঘৃর্ণিঝড় আমফানের মোকাবিলায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার, একথাও বলেন তিনি। সীতারামন বলেন, ১১ দিন আগে থেকে রাজ্যকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল,তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে বেশ কয়েকটি প্রাণ বাঁচানো যেত বলে মনে করেন তিনি।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022