
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : দেশের রাজনৈতিক চাপানউতোরে এবার নাম জড়ালো ফেসবুকের। ভারতে ফেসবুকের পলিসি চিফ বা নীতি রূপায়নের প্রধান আঁখি দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হল চন্ডিগড়ে। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ নতুন না। এর আগেও বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
এক মার্কিন সংবাদসংস্থার তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যেখানে ফেসবুকের ভারতীয় শাখার প্রাক্তন কর্মী এমনকি বহু বর্তমান কর্মীও এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তাঁরা জানান, ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইনের যে সমস্ত বিধি নিষেধ আছে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজেপির বহু মন্ত্রী ও সাংসদরা বারবার লঙ্ঘন করেছেন। তাও তাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ নিতে দেননি আঁখি দাস। সাধারণত ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো গ্রাহক বা ফেসবুক ব্যবহারকারী যদি তাঁর পোস্টে ধর্মীয় বিদ্বেষ বা উস্কানিমূলক কথা লেখেন তবে তার অ্যাকাউন্ট বেশ কিছুদিনের জন্য নিস্ক্রীয় করে রাখা হয়। সেই কাজ যদি ঐ অ্যাকাউন্ট থেকে বারবার হতে থাকে তবে একটা সময়ের পর সেই অ্যাকাউন্টটিই বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। এখানে ফেসবুকের ভারতীয় বিভাগের বহু কর্মী জানান, বহু সাংসদ ও মন্ত্রী বারংবার উস্কানিমূলক পোস্ট করেছেন, এমনকি চলতি বছরের শুরুতে দিল্লিতে ধর্মীয় ও জাতীগত অশান্তি চলাকালীনও বারবার এই সমস্ত মন্ত্রীদের অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে উস্কানিমূলক লেখা। যা ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইনের বিরুদ্ধে এবং নিয়মমাফিক তাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বারবার নীতি রূপায়নের প্রধান আঁখি দাস এই কাজে বাধা দেন, এতে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। কোনোরকম ওয়ার্নিং ছাড়াই এই সমস্ত মানুষের অ্যাকাউন্ট স্বক্রীয় আছে এখনও। সোমবার আঁখি দাস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে। দিল্লির সাইবার শাখায় মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ফেসবুকের এগজিকিউটিভ। মার্কিন সংস্থার এই রিপোর্টের পরই ভারতীয় রাজনীতিতে এই বিষয় নিয়ে দোষারোপের পর্ব শুরু হয়ে গেছে। কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে ফেসবুকের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে। দেশে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বিজেপির মুখপাত্র হয়ে উঠেছে বলে তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। গোটা ঘটনায় যৌথ সাংসদীয় কমিটির দাবি করেছেন বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। এর পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর বলেন, এতদিন ফেসবুকে কংগ্রেস ও বামপন্থার রাজ চলত, তা বন্ধ করেছে বিজেপি, তাই এই অভিযোগ।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022