
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে শিশুদের পণবন্দি করার ঘটনায় স্থানীয়দের রোষের বলি হলেন অপহরণকারীর স্ত্রী। উত্তেজিত জনতা তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে খুনি অপহরণকারীকে গুলিতে খতম করে বাহিনী। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পণবন্দি শিশুদের।
উৎকণ্ঠার অবসান হয় মধ্যরাতে। ফারুখাবাদে পণবন্দি অন্তত ২০ শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে কমান্ডো বাহিনী। এ দিকে, অভিযান চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অপহরণকারী যুবক সুভাষ বথামের মৃত্যু হয়। রাজ্য পুলিশের আইজি (কানপুর) মোহিত আগরওয়াল এ কথা জানিয়েছেন। মেয়ের জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের বাড়িতে ২৩ শিশু, নিজের স্ত্রী ও কন্যাকে পণবন্দি করেছিল সুভাষ বথাম। তার বিরুদ্ধে আগেই খুনের অভিযোগ ছিল। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শিশুরা বাড়ি না-ফেরায় গ্রামের কয়েক জন পুরুষ তার বাড়ি গিয়েছিলেন। গ্রামের মানুষদের দেখে বাড়ির জানালা থেকে কম শক্তিশালী বোমা ছুড়তে শুরু করে অভিযুক্ত। ভয়ে লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যান। খবর যায় পুলিশের কাছে। পণবন্দি শিশুদের উদ্ধারে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরাও। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অপহরণকারী। এর পরে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। শুরু হয় সমঝোতা। আলোচনাকারীদের সুভাষ বথাম জানায়, তার কাছে ৩০ কিলো বিস্ফোরক মজুত আছে। এই পরিস্থিতিতে রাতেই তাঁর বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডাকেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খোদ রাজ্যপুলিশের আইজি(কানপুর) উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপরে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। উদ্ধারকাজে রাতেই বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর একটি দলকে ফারুখাবাদের ওই গ্রামে পাঠানো হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেলে সাফল্য। অভিযানে অপহরণকারীকে খতম করে পণবন্দি শিশুদের উদ্ধার করেন জওয়ানরা। এরপরই স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হয় অপহরণকারীর স্ত্রীর। । স্থানীয় মহিলারা তাকে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত ও পাথর মারে এবং পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। “মহিলা আহত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমরা তার মৃত্যুর পেছনের কারণ অনুসন্ধানে ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। ”আইজি কানপুর মোহিত আগরওয়াল বলেছেন। সুভাষ বাথম নামক ব্যক্তিটি তার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং পরে তাদের জিম্মি করে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ গ্রামে বন্দীকারীকে হত্যা করার পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। জিম্মি নাটকটি বিকেলে কাসারিয়া গ্রামে শুরু হয়ে প্রায় আট ঘন্টা অব্যাহত থাকে। অতিরিক্ত মুখ্য সেক্রেটারি (স্বরাষ্ট্র) আউনিশ আওয়াস্থি সকাল ১১.২০ মিনিটে তড়িঘড়ি আহ্বান করা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযুক্তকে হত্যা করা হয়েছিল এবং প্রায় ২৩ জন শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।” “অভিযুক্তরা তার মেয়ের জন্মদিনের পার্টির জন্য বাচ্চাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং তাদের জিম্মি করে রেখেছিল। ৩০ শে জানুয়ারী সন্ধ্যা ৫.৫৫ এর দিকে এটি শুরু হয়েছিল এবং প্রায় আট ঘন্টা অব্যাহত ছিল,” পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) ওপি সিং আরও বলেছেন, ” পুরো অভিযান তারা অভিযুক্তদের “জড়িত” করার চেষ্টা করেছিল এবং সফল হয়েছিল। তিনি জানান, সুভাষ বাথম নামে অভিযুক্ত অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের এক কিশোরীকে তার প্রতিবেশীর কাছে বারান্দা থেকে তুলে দিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি প্রতিরোধকারী দল বাড়ির বাইরে জড়ো হয়েছিল যেখানে শিশুদের কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে কাঁদতে এবং তাদের নিরাপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছিল। শিশুরা উদ্ধার করতে জনতা বাড়ির দরজা খুলেছিল বলে তারা জানিয়েছে।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022