নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকার পর বুধবার রাতেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন টলিডের প্রবীণ অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। ১১.১০ নাগাদ ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে তাঁর মরদেহ নিয়ে শুরু হয় যাত্রা। শেষবেলায় বাবাকে চিরতরে বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কন্যা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বিশিষ্ট এই অভিনেতার প্রয়ানে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে রূপোলি পর্দার সকলেই শোক প্রকাশ করেছেন।
বুধবার সন্ধে ৭.৩০ মিনিটে চির নিদ্রায় শায়িত হন সন্তু মুখোপাধ্যায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেতার বাড়িতে পৌঁছান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অভিনেতার মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। টলি পাড়ায় মাধবী মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, অপরাজিতা আঢ্য সকলেই এই প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন।
সহকর্মীর মৃত্যুতে এদিন স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। স্মৃতিচারন করতে গিয়ে তাঁর গলা যেন বুঁজে আসে। সিনেমার সেটে সন্তু মুখোপাধ্যায়কে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর কথা বলতে গিয়ে নস্ট্যালজিয়ায় ভেসে যান সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তবে প্রবীনদের পাশাপাশি টলিউডের নবীন প্রজন্মের তারকারাও সন্তু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুকে অপূরনীয় ক্ষতি বলে দাবি করেছেন।
অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় এদিন স্মৃতিচারন করে বলেন, “দীর্ঘদিন আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি। পুর্নেন্দু পত্রীর ‘মালঞ্চ’ ছবিতে তাঁর কাজ ছিল অসাধারণ। অনেক সময় নিজেদের মধ্যে মন খারাপ, আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি আমরা। তবে শেষ জীবনে আমরা অনেকগুলো সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু হটাৎ একদিন শুনলাম ও কাজ করছে না। কারন জানার জন্য প্রোডাকশন হাউস থেকে খবরও নিলাম। ওকে অনেকবার ফোন করছি ধরছে না। তারপর ওর মেয়েকে ফোন করে জানতে পারলাম ও কোথায় আছে। আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে যাব ভাবছি ঠিক তখনই ওর চলে যাওয়ার খবর পেলাম। আমার মন খুব ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। মেনে নিতে পারছি না ওর এই চলে যাওয়া।”
অভিনেত্রী মানালী মণীষা দে, এদিন বলেন, “কত বড় মাপের অভিনেতা তিনি, কিন্তু কিছু ভুল হলে কী সুন্দর শিখিয়ে দিতেন। খুব মজার মানুষ ছিলেন।” অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বলেন, “বহু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জানি, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবিনি। প্রচুর শিখেছি ওনার কাছ থেকে। আমাকে খুব স্নেহও করতেন।” নতুন প্রজন্মের তারকা পায়েল সরকারও এদিন সন্তু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”