পর্যটকদের স্বস্তি দিয়ে লকডাউন ১.০ খুলছে দীঘার হোটেল, থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বাঙালি যেমন খাদ্য রসিক তেমনই ভ্রমনে পটু। কিন্তু করোনার জেরে সবক্ষেত্রেই ভাটা পড়েছে। যেমন নিজের পছন্দের রেঁস্তোরাতে গিয়ে এখন পছন্দসই খাবার খাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা তেমনই  মুড অফ হলেই গাড়ি বা বাইক নিয়ে হুট করে বেরিয়ে পড়ার প্রবনতাও ঘুচেছে। তাই এবার সেই মানুষগুলোকে স্বস্তি দিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হচ্ছে দিঘার হোটেল। বুধবার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় দিঘার হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে। সেই মর্মে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই খুলে যাচ্ছে হোটেল। 

এই বৈঠকে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়, এখনও সমস্ত হোটেল খোলা হবেনা। প্রাথমিকভাবে রাস্তার পাশে যে হোটেলগুলি রয়েছে সেগুলির ঝাপ খুলবে। এখুনই গ্রামের ভেতরে থাকা হোটেল খোলা হচ্ছেনা। তবে যে হোটেলগুলি খোলা হচ্ছে সেগুলি বিধিনিষেধ মেনে স্যানিটাইজ করতে হবে। পুরো হোটেলের মাত্র ৩০ শতাংশ ঘর ভাড়া দেওয়া যাবে। কর্মীও থাকবে ৩০ শতাংশ। কোন কর্মীর সমস্যা হলে তার দায়িত্ব নিতে হবে হোটেল মালিককে। হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, প্রথমে রাস্তার পাশের হোটেলগুলি খোলা হবে। গ্রামের ভেতরের হোটেল এখুনই খোলা হচ্ছেনা। স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে হোটেলগুলিকে। 

করোনার জেরে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সমস্ত পর্যটন শিল্প। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় শিল্পেও প্রভাব পড়েছে এই লকডাউনের। মূলত গরমের সময় স্কুল-কলেজগুলিতে টানা ছুটি থাকায় পর্যটকদের ব্যপক আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় দীঘা ও মন্দারমণিতে। কিন্তু করোনার জেরে চলতি বছর কেউ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে নারাজ। তাই আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে সেখানকার পর্যটন শিল্প। তাই এবার শর্তসাপেক্ষে হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন দীঘার হোটেল মালিকরা। প্রসঙ্গত, আগেই কোলা হয়েছে মন্দারমণির হোটেল। কিন্তু সেখআনে পর্যটকদের দেখা একেবারে নেই বললেই চলে। এমনকি যদি কোন গ্রুপ সেখানে ছুটি কাটাতে আসেও থাকে তাহলে তাঁদের থাকতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। এখন দীঘার ক্ষেত্রে কী হয় সেটাই দেখার। 

 

 

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube