পতঞ্জলির ‘করোনিল’ আর ‘স্বসারি’ ওষুধে ৭ দিনে করোনা কুপোকাতের দাবি রামদেবের

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সারা বিশ্ব ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যাস্ত। পতঞ্জলি আজ একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বাজারে এনেছে যার দাবি সাত দিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসকে কুপোকাৎ করে ফেলবে রামদেবের এই দাওয়াই! “রোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন ১০০ শতাংশ সাফল্য” মিলেছে বলেই দাবি করেছে রামদেবের পতঞ্জলি সংস্থা। যদিও বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসর নিরাময়ের জন্য হপ্ন্যে হয়ে দিবারাত্র কাজ করে চলেছেন। পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা, যোগ শিক্ষক রামদেব বলেছেন, “করোনিল এবং স্বসারি” নামের ওষুধগুলি সারাদেশে ২৮০ জন রোগীর উপর গবেষণা এবং পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। অনেক দেশই ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে, তবে এখনও কেউই করোনাভাইরাসের বিকল্প নিরাময়ের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিতে পারেননি।

“পুরো দেশ এবং বিশ্ব করোনার জন্য ওষুধ বা ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছিল। আমরা গর্বিত হয়ে ঘোষণা করছি যে প্রথম আয়ুর্বেদিক, ক্লিনিক্যাল-নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষামূলক এবং গবেষণা-ভিত্তিক ওষুধটি পতঞ্জলি গবেষণা কেন্দ্র এবং এনআইএমএসের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রস্তুত করা হয়েছে,” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন রামদেব।

“আমরা আজ কোভিড ওষুধ চালু করছি, করোনিল এবং স্বসারি। আমরা এর দু’টি পরীক্ষা চালিয়েছি, প্রথম ক্লিনিকাল নিয়ন্ত্রিত গবেষণা, যা দিল্লি, আহমেদাবাদ সহ অন্যান্য অনেক শহরেই হয়েছিল। এই পরীক্ষার অধীনে ২৮০ জন রোগী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং তাদের ১০০ শতাংশই সেরে গিয়েছেন। আমরা এতে করোনাকে এবং এর জটিলতাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এর পরে সর্বাত্মক ক্লিনিকাল নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল,” দাবি রামদেবের।

এই প্রকল্পে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস বা জয়পুরের এনআইএমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কাজ করেছে পতঞ্জলি।

“এন আই এম এস, জয়পুরের সহায়তায় আমরা ৯৫ জন রোগীর উপর ক্লিনিকাল, নিয়ন্ত্রিত গবেষণা চালিয়েছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয়টি যেটি এসেছে তা হ’ল তিন দিনের মধ্যে ৬৯ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে, এবং পজিটিভ (কেস) থেকে নেগেটিভ হয়ে গেছেন। শুধু তাই নয় সাত দিনের মধ্যে ১০০% মানুষই নেগেটিভ হয়ে গেছেন,” সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রোগীদের উপর ওষুধের পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে বলেন রামদেব।

বিকল্প নিরাময়ের দাবি বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু বলেছে, “কিছু পশ্চিমী, ঐতিহ্যবাহী বা ঘরোয়া প্রতিকারে আরাম মিলতে পারে এবং কোভিড-১৯ এর লক্ষণগুলি হ্রাস পেতে পারে, তবে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে সেই সব ওষুধ এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে বা নিরাময় করতে পারে। করোনাভাইরাসের  প্রতিরোধ বা নিরাময়ের জন্য হু  অ্যান্টিবায়োটিক সহ কোনও ওষুধই বা নিজে নিজে ওষুধ তৈরি বা খাওয়ার পরামর্শ দেয় না।

 

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube