
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : বিতর্ক যেন তাঁর পেছন ছাড়ছেনা। সম্প্রতি স্ত্রীর থেকে ডিভোর্সের আইনি নোটিশ পেয়েছেন। এবার বিশিষ্ট অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ভাই মিনাজ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন ভাইঝি। তবে মিনাজের এই কুকর্মের সাথে নওয়াজউদ্দিন যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
ঘটনার সুত্রপাত খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হবে বছর খানেক আগে। তখন ভাইঝির বয়স মাত্র ৯। কিভাবে এই ছোট্ট বয়সে কাকার থেকে যৌন হেনস্থার শিকার হন তিনি, এদিন সেবিষয়েই মুখ খোলেন ভাইঝি। তাঁর কথায়, “এটা যখন শুরু হয়েছিল তখন আমার বয়স মাত্র ৯। আমার শরীরে অদ্ভুতভাবে স্পর্শ করত সে। আমি ভেবেছিলাম ঠিক আছে। এ তো আমার কাকা। আমাকে ভালবাসে। আমি বুঝতে পারিনি যতদিন না আমার সেই বয়স হয়।” কিন্তু ভাইঝির বয়স বাড়লেও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁকে। যখন তাঁর ১৪ বছর বয়স তখনও তিনি কাকা মিনাজের থেকে একইরকম আচরণ পেয়েছে। এবিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তখন ১৪ বছর বয়স। আমরা পরিবারের সবাই একটা জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমি ঘরের মধ্যে খেলছিলাম। মিনাজ আমার পাশে শুয়ে ছিল এবং আমাকে আবার ছুঁতে শুরু করল। আমি বুঝতে পারলাম আমার অন্যান্য কাকারা এভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করেনা। আমার ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এটা চলতে লাগলো। তারপরে আমার বিয়ে হয়ে যায়।” এখানেই শেষ না করে মিনাজের বিরুদ্ধে এদিন ভাইজি আরও অভিযোগ করেন, , “সেই সময় আমি দিল্লিতে থাকি। তখন আমি একটা সম্পর্কে ছিলাম যার সঙ্গে আমার বিয়েও হয়। তখন মিনাজ আমার বাড়িতে অসে এবং আমার সাথে সঙ্গম চায়। আমার হাত শক্ত করে ধরে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি এড়াতে চাইলে নিজের বেল্ট খুলে আমাকে মারতে থাকে। আমার সারা শরীরে মারের দাগ হয়ে গিয়েছিল। প্রমাণ হিসেবে সেই ছবি আমার কাছে এখনো আছে। সেই ছবি আমি আমার প্রেমিককে পাঠিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে বলেছিলাম। ও এসে আমায় না বাঁচালে আমি হয়তো আত্মহত্যা করতাম। আমাকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে গিয়ে ওর সঙ্গে বিয়ে করতে হয়।” যদিও মিনাজের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার এই মামলা গত দু’বছর ধরে চলছে বলে আদিন জানান নওয়াজের আর এক ভাই সামাজ। কিন্তু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তাঁদের ভাইজি । তাঁর কথায়, “আমাদের এই ভাইঝি থাকে দেরাদুনে। নাবালিকা অবস্থায় সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর একটি ছেলেকে বিয়েও করেছিল। আমার ভাই তখন থানায় মিসিং ডাইরিও করেন। দেরাদুন থেকে মামলা পৌঁছায় হাইকোর্টে। সে যে নাবালিকা নয়, তা প্রমাণ করতে একটি ফেক স্কুল সার্টিফিকেট দেখিয়েছিল। মামলাটি সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ফের সেটিকে হাইকোর্টের ফিরিয়ে দেয়। মামলাটির ২ বছরের পুরনো।”Latest posts by news_time (see all)
- ব্যারাকপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক সাংসদ সৌগত রায় - May 27, 2023
- দাড়িভিট কাণ্ডে তদন্তভার পেল এনআইএ - May 27, 2023
- খোদ শাসকদলের বিরুদ্ধেই উঠল নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ নির্যাতিতার উপর - May 27, 2023