ধর্ষণ পরে খুন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মিলল তরুণীর দেহ

এক তরুণীকে তাঁর হবু স্বামী ও দেওর ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠছে । মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরের একাধিক জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা এলাকায়। ট্রেনে খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয় শিয়ালদহতে। শুক্রবার ভোরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে।

নির্যাতিতার সাথে বিয়ে ঠিক হয় সাবীর শেখ নামে এক যুবকের। বিয়ের আগেই নির্যাতিতার নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার লোন নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হবু স্ত্রীকে মেরে ফেললে সেই লোন আর শোধ করতে হবে না। এই কারণেই তাকে প্রথমে বাড়ি থেকে ডাকা হয়, তারপর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ট্রেনে তুলে খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করা হয়।

শিয়ালদহতে ট্রেন ঢোকার পর তার জ্ঞান ফিরলে আবার তাকে বেঁহুশ করা হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ হবু স্বামী ও দেওর মিলে তাকে ধর্ষন করে। বেঁহুশ ও নগ্ন অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুনহাটে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। ঘটনার পর থেকে পলাতক দুই অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

নিউজ টাইম চ্যানেলের খবরটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube