দুটি লাভজনক সংস্থায় একসঙ্গে কীভাবে থাকতে পারেন ফিরহাদ হাকিম? চিঠি নির্বাচন কমিশনের

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কীভাবে একই সঙ্গে  কলকাতা পৌর কর্পোরেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন, এবিষয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়ে জবাব তলব করলো নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠিতে কমিশনের অন্যতম অধিকর্তা বিজয়কুমার পাণ্ডে জানতে চেয়েছেন একসঙ্গে দুটি লাভজনক সংস্থার  শীর্ষপদে থাকার জন্যে কেন খারিজ হবে না ফিরহাদের বিধায়ক পদ? এবিষয়ে রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, এই প্রসঙ্গে আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঠিক সময়মতো আমরা এর জবাব দেব”। এদিকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাঁর স্পষ্ট জবাব, পুর সংস্থার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে নাকি তিনি কোনও বেতন বা ভাতাই নেননা।

সচিবালয় সূত্র মারফৎ জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠিতে মোট ৯টি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২টি প্রশ্ন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের দায়িত্ব এবং বেতনের বিষয়ে। 

প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্য়ান হিসেবে ফিরহাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, পদে বসার বিজ্ঞপ্তির কপি, তাঁকে কী ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয় এবং কোনও আইন বা নির্দেশিকার আওতায় তাঁর কার্যালয় বিশেষ কোনও ছাড় পায় কিনা, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়েছে। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্য়ান পদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি কোন তারিখে জারি করা হয়েছিল এবং তা রাজ্যের নির্দেশিকার ভিত্তিতে হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।

একটি সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, গত ২২ জুন ফিরহাদের বিষয়ে কমিশনকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সতীশ তিওয়ারি। তার চিঠি পাওয়ার পরেই এই বিষয়গুলো নিয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, রাজ্যপালের কাছে দু’টি অভিযোগপত্রে ফিরহাদ হাকিমের বিধায়ক পদ খারিজের ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছে। সংবিধানের ১৯১(১)(ক) ধারা মেনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়েও আর্জি জানানো হয়েছে। তাই সংবিধানের ১৯২(২) ধারা মেনে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাছে এবিষয়ে মতামত জানতে চান।

যদিও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবিষয়ে স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, তিনি পুরসভার থেকে কোনও বেতন, ভাতা, গাড়ি-সহ কোনও সুবিধাই নেন না। লাভ নিলে তবেই তো লাভজনক পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিজেপি এবং রাজ্যপাল রাজভবনে বসে এই সব ঘোঁট পাকাচ্ছেন। তাঁকে আদালত এই কাজ করার বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে।   

 

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube