দিল্লির হিংসায় আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, উদ্বেগ প্রকাশ অমর্ত সেনের

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায়। শেষ পাওয়া খবর অনু‌যায়ী এখনও প‌র্যন্ত দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২। আতঙ্কে ভুগছে গোটা রাজধানী শহর। দিল্লির এই অবস্থানে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন অমর্ত সেন। এপ্রসঙ্গে শনিবার তিনি বলেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তার ‌যথেষ্ট কারণ রয়েছে। দিল্লিতে যা ঘটেছে ভারতবাসী হিসাবে আমি উদ্বিগ্ন।”

শান্তিনিকেতনে প্রতীচী ট্রাস্টের বার্ষিক আলোচনা সভায় শনিবার উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত সেন। সেখান থেকেই দিল্লির হিংসা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজধানীর এই অবস্থায় আমি খুবই উদ্বিগ। দেশের রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত। সেখানে যদি সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়, আর সেই অত্যাচার যদি পুলিশ আটকাতে না পারে বা প্রয়োজনীয় চেষ্টাও না করে, এমন অভিযোগ সঠিক হলে চিন্তা করার নিশ্চয়ই কারণ আছে।” তবে এখানেই শেষ না করে তিনি আরও বলেন, “‌যাঁরা মার খাচ্ছেন এবং ‌যাঁরা মারা ‌যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগটাই রয়েছ মুসলমান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।” এখানেই শেষ না করে তিনি আরও বলেন, “এটা তো ঠিকই যাঁরা মার খাচ্ছেন আর যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মুসলমান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অনেক বেশি। ভারত একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে হিন্দু-মুসলমানে পার্থক্য করা একেবারেই উচিত নয়।। অতএব এটা যদি ঘটতেই থাকে তাহলে গর্বিত ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিশ্চয়ই চিন্তার বড় কারণ আছে।”

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এদিন আরোও বলেই এই পুরো ঘটনায় দোষটা ঠিক কার! দিল্লির হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে সরকারের প্রচেষ্টার কমতি রয়েছে নাকি পুলিশের অক্ষমতা রয়েছে, তা আমাদেরকেই বিচার করতে হবে। এরপরেই তিনি সুর চড়িয়ে বলেন,  “এখানে কোনও বচসার জায়গা আছে বলে মনে করি না। যেখানে সামাজিক যুদ্ধ চলছে, সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করাটা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু তার সঙ্গে অন্য দলের সমালোচনা করলে তাদের সুবিধা হবে না, এটা মনে করার কারণ দেখি না।”  

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube