তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনেই অনুমতি দিল না পুলিশ

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলকে নানা ধরনের অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি পালন করতে বাধা দেওয়া বা পুলিশি হয়রানির অভিযোগ আগেই ছিল। কিন্তু এবার খোদ শাসকদলকেই দলীয় কর্মসূচি এবং অনুষ্ঠানে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

দলের ২৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যানিং ব্লকের হাটপুকুরিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আগামী ১লা জানুয়ারি সকাল থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বস্ত্রদান এবং বহিরাগত শিল্পী সমন্বয়ে গজল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অভিযোগ এই অনুষ্ঠানে আইন মেনে মাইক বাজানোর অনুমতি চেয়ে হাটপুকুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঘরামী ক্যানিং থানায় আবেদন জানিয়েছিলেন গত ২১ শে ডিসেম্বর।

কিন্তু সম্প্রতি সেই আবেদন খারিজ করে আগামী ১লা জানুয়ারি ঐ এলাকায় কোন বিশেষ অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় ক্যানিং থানার পুলিশ। নোটিসে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয় “আপনাদের দন্ধের কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। সেই কারণে ১লা জানুয়ারি এলাকার সমস্ত বিশেষ অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।” 

স্থানীয় থানার তরফে এলাকায় এই অনুষ্ঠান করার অনুমতি না পেয়ে মঙ্গলবার বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপারের দফতরে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সিরাজুল। এই অনুষ্ঠান করতে যাতে পুলিশ সুপার অনুমতি দেন সে বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।সূত্রের খবর হাটপুকুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূলের বিদায়ী সভাপতি শৈবাল লাহিড়ীর উপস্থিত থাকার কথা। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ক্যানিংয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শৈবাল গোষ্ঠীর সাথে বিবাদ রয়েছে বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামীদের। বছর খানেক আগে এলাকার যুব তৃণমূল নেতা মহরম শেখকে গুলি করে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় শৈবাল অনুগামী রফিক মোল্লার। সেই ঘটনার পর থেকেই কার্যত শৈবাল ক্যানিংয়ে আসেন না। সিরাজুল হাটপুকুরিয়া এলাকায় এই অনুষ্ঠান করলে সেখানে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি হতে পারে বলেই পুলিশ এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় নি।

দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনে পুলিশি অনুমতি না মেলা প্রসঙ্গে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের দাবি সিরাজুল গত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই আইএসএফ করছে। বিধানসভা ভোটে ঐ এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীকে হারানোর জন্য সমস্ত রকম ষড়যন্ত্র করেছে। ভোটের পরই ঐ এলাকায় অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোন দলীয় কর্মসূচির সাথে সে যুক্ত নয়। দলকে সব জানানো হয়েছে। এলাকায় নতুন করে অশান্তি পাকানোর জন্য তৃণমূলের নাম ভাঙানোর চেষ্টা করছে। পদে না থেকেও কিভাবে সে অঞ্চল সভাপতির প্যাড ব্যবহার করছে সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এটা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির দাবি বিধায়কের নির্দেশেই এই অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এদিকে এলাকার এই অনুষ্ঠান বন্ধ হবে শুনে এলাকার সাধারণ মানুষ মর্মাহত। তাদের দাবি এই অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে চলছে, সেটা করতে দিতে হবে।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube